বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

স্বজনের বয়ান ও বেলুনের প্রস্থান

আমেনা আফতাব
  ২৭ অক্টোবর ২০২০, ১৬:৪২
বেলুন নামটা যে কে রেখেছিল, তা নিয়ে কখনো ঘাঁটাঘাঁটি করেনি মেয়েটা। তবে বেলুন নামের সঙ্গে যেন উড়ে যাওয়া শব্দটার খুব মিল খুঁজে পায় সে। বেলুন তো ওড়ে। তবে কাউকে উড়িয়ে দিতে হয়। কিন্তু তাকে কেউ ওড়াবে না। সেও উড়াল দেয়ার কথা ভাবেনি বা ভাবতে পারেনি। মাটিতেই পড়ে আছে। বেলুন নামের কোনো সার্থকতা তাই নেই তার কাছে। কিন্তু বেলুন নাম না নিয়েও তো মেয়েরা এখন উড়াল দিচ্ছে। দিচ্ছে না? নিজেকে শুধায় মেয়েটা। জবাব আসেÑ হ্যাঁ, তো দিচ্ছে। সারা দুনিয়ায় দিচ্ছে। তার এ দেশটাতেও দিচ্ছে। বিমান চালায় মেয়েরা। বাতাসের মাঝ দিয়ে উড়ে যায়। তাদের বৈমানিক বলে। মেয়েরা পাহাড়ে ওঠে। মেঘের সঙ্গে কথা বলে, তুষার ভাঙে। হোক না সে গ্রামের মেয়ে। গ্রাম তো এখন শহরে ঢুকে গেছে। আর শহরও এসে পড়েছে গ্রামের কাছাকাছি। ধানের ক্ষেতের আল দিয়ে মেয়েরা মোটরসাইকেল চালিয়ে ভোঁ করে চলে যায়। এরা শহর থেকেই আসে। এনজিও কর্মী। গায়ের পোশাকে ট্যাস লাগানো। মাথায় হেলমেট। কেয়ারের এসব কর্মীর চলে যাওয়া দেখতে বড় ভালো লাগে তার। মনে হয় মুক্ত পাখির মতো এরা। গ্রামের মানুষের উন্নতির জন্য কাজ করছে। বেলুন হয়ে না-ই বা উড়ল। এদের মতো যদি মোটরবাইকে ঘুরে বেড়াতে পারত। সে-ও কাজে লাগত।
কিশোরীটি এসবই ভাবে। তার কিছুই করার নেই যেন। বেলুনের মতো ওড়া না। ডানা গজাতেই দেয়া হয় না যে ডানা মেলবে। প্রাইমারিতেই তার পড়াশোনার পাট চুকে যায়। অথচ তার সমবয়সী ভাইটা দূরের হাইস্কুলে ঠিকই পড়তে যায়। প্রাইমারির স্যারেরা বলছেন তার মাথা ভালো ভাইয়ের চেয়ে। পড়লে সে ভালো করবে। কথাটা পরিবারের কাছে সে পেড়েছে। আদুরে গলায় বলেছেÑ ভাই যাচ্ছে, আমিও হাইস্কুলে পড়তে যাব। ভাইয়ের থেকে ভালো লেখাপড়া করে আমি কেন হাইস্কুল পাস দেব না। পরিবারের লোকজন চট করে জবাব দিলÑ ছেলেদের কথা আলাদা। তুমি মেয়ে। কাদা পানি মাড়িয়ে অত দূর পড়তে যাবে। তুমি যেটুকু করেছ সে-ই ভালো। দাদি আরো অনেক কথা জুড়ে দিলেন ফুফুজির কথার সঙ্গেÑ ‘গাঁও-গেরামও এখন ভালো না। এখন ছেলেরা বখাটে হচ্ছে। রাস্তাঘাটে আড্ডা জমায়। শকুনির চোখ ফেলে মেয়েদের ওপর। চাইলে সর্বনাশ করে ফেলে। মাঝে মাঝেই তো সর্বনাশের খবর শুনি। কার মেয়েকে তুলে নিয়েছে ফষ্টিনষ্টি করতে রাজি হয়নি মেয়েটি । ডোবায় লাশ পাওয়া গেছে। এসব শুনে অন্তরাত্মা কাঁপে। কোন সাহসে তোমাকে দূরের স্কুলে পাঠাই। গায়েগতরেও তো তুমি বেড়ে গেছ।’ ছোট চাচি ফোড়ন কেটে বলেন, ‘গায়েগতরে না বাড়লেই কী। ছোট কন্যাশিশুটিও তো ওদের লালসা থেকে বাঁচে না।’ আরেক চাচি বলেন, ‘মেয়েছেলে আর বেশি পড়ে লাভ কী। হাঁড়ি ঠেলাই তো আমাদের কাজ।’ এতসব কথার মাঝে মা চুপচাপ। তার যেন বলার কিছু নেই। মায়ের মুখের দিকে তাকায় সে। যদিও জানে মায়ের কোনো কথায় সংসারের কোনো কাজ হয় না। মাও মেয়ে, দাদিও মেয়ে। কিন্তু দাদির দাপট। মায়ের নেই। মা বুঝি তার মতো হেরে যাওয়া মেয়েমানুষ। তাদের পল্লীসমাজে এখনো এমন। হিসাব মেলাতে চায় সে। হয়তো মিলবে না। কিংবা কোনো দিন মিলবে। তবে এখনো দেরি। এখনো যে হাঁড়ি ঠেলার কথাই ভাবতে হচ্ছে।
হ্যাঁ, হাঁড়ি ঠেলার জন্যই তৈরি করা হতে থাকে তাকে। মায়ের কাজে সাহায্য করে। দাদির খেদমত করে। তার ওজুর পানি তুলে দেয়। তাকে গোসল করায়। মাথায় তেল মাখায়, উঠানের আম গাছতলায় বিকালের রোদ পড়ে গেলে হাঁটায়। বাড়ির পাশের রাস্তা ধরে মোটরসাইকেলে ফিরে যায় কেয়ারের কর্মী। এনজিওর লোকজন। তার চোখ চলে যায় সেদিকে। ‘দাদি দেখ দেখ, কী সুন্দর লাগছে ওদের।’ দাদি মুখ ঘুরিয়ে নেন। ‘তাকাসনে। বেইজ্জতি। প্যান্টশার্ট পরেছে মেয়েগুলো। ছেলেদের পোশাক।’ সে খিলখিল করে হাসে। ‘ছেলেমেয়েতে এখন তফাত নেই দাদি। ওরা অফিসে চাকরি করে।’
Ñ‘কে বলেছে এসব কথা। এসব ভুলেও মুখে আনবিনা।’
Ñ‘বইতেই আছে দাদি। মেয়েরা এখন বড় বড় অফিস চালায়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী তো মেয়ে। আরো মেয়ে মন্ত্রীরা আমাদের দেশ চালাচ্ছেন। তোমরা আমাকে পড়তে দিলে না। অনেক পাস দিয়ে আমিও বড় অফিসে চাকরি করতে পারতাম।’
Ñ‘পড়বি। ওই দূরের স্কুলে গিয়ে। তোর সুন্দর মুখে তো মাছিও বসে যায়। আর চিল-কাউয়ারা বসবে না। গর্তে টেনে নেবে তোকে। শেয়াল-কুকুরের মতো খাবলাবে।’
Ñ‘কেন দাদি। আমার মতো মেয়েরা যাচ্ছে না স্কুলে? এ গাঁ থেকেই তো যাচ্ছে। তারা আইএ-বিএ পাস দিচ্ছে।’
Ñ‘তা দেগ। সবার জন্য তো সব কিছু না। তোর বাপ গরিব। গরিবের ইজ্জত গেলে আর কী আছে। বলছি না, দিনকাল খারাপ। লজ্জাশরমের মাথা খেয়েছে মানুষ। আমাদের সময় গাঁয়ের কোনো ছেলে কোনো দিন মেয়েদের দিকে চোখ তুলে তাকায়নি। আর এখন কত সাহস। মেয়েদের বেইজ্জত করতে একটুও বাধে না। মা-বাপ ছেলে মানুষ করতে পারছে না এখন। তারা আগাছা বাড়াচ্ছে সংসারে।’
দাদির বয়ান শুনতে আর ভালো লাগে না তার। এক কথা, একই রকম বয়ান সব।
Ñ‘দাদি ঘরে চল। মাগরিবের নামাজের সময় হয়েছে।’ দাদিকে ঘরে টানে সে। মনে মনে বলে, ‘যতসব খারাপ চিন্তাভাবনা তোমাদের কন্যাসন্তান নিয়ে। মেয়েদের পড়াশোনা না করানোর বাহানা এসব।’ মুখে কিছুই বলে না। মুখে তো কুলুপ আঁটা।
তারপর সাড়ে চৌদ্দ বছরে তাকে বিয়ে দেয়া হয়। মোটামুটি শিক্ষিত ছেলে। জেলা শহরে ছোটখাটো চাকরি করে। সংসারে মা-বাবা, ভাই-বোন আছে। মনে মনে খুশি হয় বেলুন। যদি পড়ার সুযোগ পায় শহরে থেকে। কথাটা পাড়তেই শাশুড়ি দাদির মতোই বয়ান দেনÑ ‘লেখাপড়া করবে তো সংসার করবে কে। সংসারী মেয়ে জেনেই তো গরিবের মেয়ে এনেছি। তোমার বাপ তো বিয়ের আগে এমন কথা বলেননি তার মেয়েকে পড়াতে হবে।’ এক বয়ানেই চুপ সে। স্বামীর কানেও কথাটা তোলা হয়। সেও তখন বয়ান দেয়Ñ ‘পড়াশোনা করে কী করবে। তুমি তো আর চাকরি করতে যাচ্ছ না। আমি তো তোমার ভাত-কাপড় দেব বলেই বিয়ে করেছি।’
শিক্ষিত স্বামীরাও কি এ রকম কথা বলে! অতএব ভাত-কাপড় যে দিচ্ছে তাকে সন্তুষ্ট রাখতে সে চেষ্টা করে। সঙ্গে শাশুড়ি, দেবর, ননদকেও।
তারপর তো তার মা হওয়ার পালা। মেয়ে হয়ে জন্মেছে বলে তাকে যেমন কথা শুনতে হয়েছে নিজের পরিবারের কাছে তেমন মা হতে গিয়েও শুনতে হয়। এবারের বয়ান আরো ধারালো। কারণ তার গর্ভে এসেছে কন্যাসন্তান। যখন সেটা জানা যায় শাশুড়ি বলতে শুরু করেনÑ ‘প্রথম সন্তান ছেলে হবে। এটা কে না চায়। ছেলে সন্তান তো বংশের বাতি। বাপ-দাদার ভিটেয় আলো জ্বালায়। মেয়েরা তো পরঘরী। মরলে খাটিয়া বহন করে ছেলে। গোরে মাটি দেয় ছেলে। আর বৃদ্ধ বয়সে মা-বাবার খাওয়া-পরা ছেলেকেই দিতে হয়।’
ছেলে সন্তানের পক্ষে বলতে বলতে মেয়ে সন্তানের বিপক্ষেও বয়ান ঝাড়েন শাশুড়ি তার সরল বিশ্বাস নিয়েÑ ‘কী লাভ মেয়ে মানুষ করে। বেগার খাটনি। খাড়াই বড় হয়। আর বড় হলেই পরের ঘরে দিতে হয়। তা খালি খালি নয়। পরের ঘরে দিতে এতটি লাগে। আর সে দেয়া একবারেই শেষ হয় না। শুরু হলেই হলো। শুধু দেও দেও। আজ স্বামীর এই দাবি তো কাল ওই দাবি। গরিবের ঘরে এগুলো আরো বেশি। খাই খাই তাদের। দাবি মেটাতে না পারলে মেয়ের ওপর নির্যাতন। তার আবার রকমফের। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হলো শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারা। আহারে, কে জন্ম দেয় কে মারে। মেয়েরা নিজেও তো মরছে। নির্যাতন থেকে রেহাই পেতে তারা আত্মহত্যা করছে। গলায় ফাঁস নিচ্ছে।’
শাশুড়ির বয়ানে নিজের কষ্টের কথাও আসে। মেয়ে নিয়ে নিজেও যে ভুক্তভোগী। আবার নিজের সাফাই গেয়ে বলেন, ‘আমি বাবা এসব দেনা-পাওনার মাঝে নেই। গরিব হতে পারি কিন্তু পরের ধনে আমার লোভ নেই। নিজের মেয়েকে ইচ্ছা হলে তারা দেক, না হলে না দেক। আমার ছেলে যখন দায়িত্ব নিয়েছে তখন তার সামর্থ্যমতো খাওয়াবে-পরাবে। কিন্তু ছেলের ভালোর জন্য আমি তো মা হয়ে তার পুত্রসন্তান চাইতেই পারি। বিশেষ করে প্রথম সন্তান। এতে তো দোষের কিছু দেখছি না।’ আত্মীয়কুটুম এলেও তিনি তার খেদের কথা না বলে যেন শান্তিই পান না। তাদের কেউ কেউ তাকে খুশি করতে তার কথায় সায় দিয়েই চলেন। কে আবার তার এসব গৎবাঁধা বয়ানের বিরুদ্ধে কথা বলেন। তারা বোঝান ঠিকমতো মানুষ করতে পারলে ছেলেমেয়েতে কোনো তফাত নেই। সেখানে আবারো লেখাপড়ার কথাটা এসে যায়। তিনি মানতে রাজি নন। মুখ ঝামটা দেন। দাদির মতোই শাশুড়িও নিজের বিশ্বাসে অনড়।
আর স্বামী! সে একেবারে চুপচাপ। কোনো কথা নেই তার মুখে। তার এ নীরব থাকাটা যেন মায়ের কথাকেই সমর্থন করা। তবে কি তারও চাওয়া ছিল পুত্রসন্তান? মেয়েটি বুঝে নেয় লড়াইটা তার একার। শাশুড়ির এসব বয়ানের জবাব দেয়া হবে যদি তার কন্যাসন্তানটিকে সে ঠিকঠাক করে গড়ে তুলতে পারে। এত কিছুর মাঝেও মেয়েটি তাই তার অনাগত শিশুটিকে নিয়ে স্বপ্নের সাজি সাজায়। পেটের সন্তানের কথা ভেবে সে মনের সব ক্ষোভ, দুঃখ, জ্বালা হজম করে নেয়।
কিন্তু সময় এলে সে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ইমারজেন্সির সামনে ভিড় জমে ওঠে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তো আছেই। খবর পেয়ে এসেছে বাবার বাড়ির লোকজনও। কেউ কেউ আল্লাহর নাম নিতে থাকে। হাত-পা ছুড়ছিল মেয়েটি। অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার আগে সে নিস্তেজ হয়ে যায়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাইরে কান্নার রোল ওঠে। আঞ্চলিক ভাষায় বিচিত্র সব কান্নার ধরন। কেউ কাঁদছে ‘আমার কলিজার টুকরোরে।’ কেউ বলছে ‘... ছাওয়ালডারে দুনিয়ার আলো দেখতে দিলি নারে মা।’ কেউ বা আবার ‘... তোরে ছাড়িয়া বাঁচুম ক্যামনে।’ মুরব্বি গোছের কেউ একজন বলল, ‘আল্লাহ নারাজ হয়ে গেছেন। মেয়ে পেটে ধরেছে বলে আদর পায়নি মেয়েটি।’ আর ঠিক তখনই চিকিৎসক বললেন, বাচ্চাটা জীবিত আছে। এখনই অপারেশন করলে তাকে বাঁচানো যাবে।
কথা থামিয়ে মুহূর্তের জন্য যেন স্তম্ভিত হয়ে গেল সবাই। তারপর বারুদের বিস্ফোরণের মতোই একটা কণ্ঠ যেন বিস্ফারিত হলোÑ ‘না, না, লাশের ওপর ছুরি কাঁচি চালাতে দেব না। মরা মানুষের আবার অপারেশন কী? এ খোদায় সইবে না। মরে গেছে মেয়েটা। কেন তার গুনা বাড়াবে। কোনো কেউ তো তাকে আর ছুঁইতে পারে না।’
মৃত মায়ের পেটের ভেতর তার কন্যাশিশু ছটফট করছে। পৃথিবীর আলো দেখতে চায় সে। তাকে নিয়ে কারো কোনো গরজ নেই। চিকিৎসক আর একবার অভিভাবকের মতামত জানতে চাইলেন। দ্রুত অপারেশন করলে বাচ্চাটাকে বাঁচানো যাবে। এবার বয়ান এলোÑ ‘মা-ই যখন বাঁচল না তখন আর বাচ্চা বাঁচিয়ে কী লাভ?’ সবচেয়ে নিষ্ঠুরতম বয়ান দিলেন কেউ একজন ‘... তা-ও যদি বুঝতাম ব্যাটাছেলে। গাছে পানি ঢাললে ফল হবে। এ তো মেয়েছেলে। এর ভার কে নেবে?’ সব শেষের বয়ান হলোÑ ‘শুধু কি লাশকে কষ্ট দেয়া। বাচ্চাটা বের করে আনতে টাকাপয়সাও তো লাগবে। মেয়ের বাপ তো গরিব। শ্বশুরবাড়ি যদি চায় ...।’ কোনো জবাব আর পাওয়া গেল না। পরস্পর মুখ চাওয়াচাওয়ি করল এবং দ্রুত লাশ খালাসের জন্য ছোটাছুটি শুরু করল। ততক্ষণে মৃতদেহটি ঢেকে দেয়া হয়েছে সাদা কাপড়ে। মৃত মায়ের পেটে শিশুকন্যাটিও বুঝি আর ছটফট করছে না বন্ধ দরজার সামনে।
সদ্য ইন্টার্নশিপ শেষ করে গাইনির ডাক্তার মারুফা জয়েন করেছিল হাসপাতালে। তার চোখের সামনেই সব ঘটে গেল। কর্মজীনের শুরুতেই এমন একটা পৈশাচিক ঘটনার মুখোমুখি হতে হলো তাকে। তার চোখের সামনে শুধু ভাসে মৃত মায়ের অসহায় মুখ। তার পেটের ভেতর নড়ছে তার কন্যাশিশু যাকে নিয়ে সে স্বপ্ন দেখেছে। কে জানে এ দেশের আনাচে কানাচে এমন ঘটনা আর ঘটছে কিনা, যেখানে কন্যাশিশু আজো অবাঞ্ছিত। এমন পরিস্থিতিতে নিজের দায়বদ্ধতার কথা ভেবে অপরাধবোধ জাগে তার। ভাবে ডাক্তার হিসেবে তারও কি কিছু করার ছিল না ওই শিশুটিকে বাঁচাতে। ঘটনার আদ্যোপান্ত ভাবতে গিয়ে সে বিস্ময়বিমূঢ় হয়ে পড়ে মুহূর্তের জন্য। সে বিমূঢ়তা কাটিয়ে যখন তাকায় দেখে কোথাও কেউ নেই। লাশ নিয়ে চলে গেছে সবাই।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে