সালথায় সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে সোনালী আঁশের চাষ

প্রকাশ | ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:২০

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

চলতি মৌসুমে ফরিদপুরের সালথায় সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে সোনালী আঁশ পাটের আবাদ করা হয়েছে।  এই উপজেলায় পাট, পেঁয়াজ ও আমন ধান এই তিনটি ফসল সমান তালে উৎপাদন হয়ে থাকে। তাই এখানকার কৃষকেরা সব সময় ফসল উৎপাদণে ব্যস্ত সময় পার করেন।

জানা যায়, সালথা উপজেলার শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাই তারা কৃষি কাজে গুরুত্ব দেন বেশি। ফসল দিয়েই চলে তাদের সংসার। এবছর পেঁয়াজ উত্তোলনের পরেই সালথা কৃষকেরা পাটের বীজ বপন করেন। এখন জমিতে পাটের গাছ উঁকি মারছে। বাতাসে পাটের ছোট গাছগুলো দোল খাচ্ছে । সারা মাঠজুড়ে চলছে পাটের পরিচর্যা নিয়ে চাষিদের ব্যস্ততা। কাঁচি ও টেঙ্গি দিয়ে পাটের আগাছা পরিস্কার করছেন তারা। ভালো ফলনের আশায় বুক বাঁধছেন পাটচাষিরা। 

উপজেলার পাটচাষি এনায়েত হোসেন ও কামাল মোল্যা বলেন, এবার পেঁয়াজের মধ্যেদিয়ে অধিকাংশ জমিতে পাটের বীজ বপন করা হয়েছে। পেঁয়াজ উত্তোলন শেষে পাটের আগাছা পরিস্কারের কাজ চলছে। এখন প্রয়োজন পানি, সার ও কীটনাশক। তাহলেই জমির পাটগাছ দ্রুত বেড়ে উঠবে। আপাতত পাটের চারাগাছ সুন্দর আছে। আবহাওয়া যদি পাটের অনুকূলে থাকে তাহলে এবার আশানুরুপ ফলন হবে। সেই সাথে সিজনে পাটের দামটা ভালো পেলে চাষিদের লাভ হবে।

উপজেলা উপসহকারী পাট উন্নয়ন অফিসার মোঃ পারভেজ বলেন, এবছর তিন হাজার চাষিকে বিনামুল্যে পাটবীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। আমরা নিয়মিত পাটচাষিদের পরামর্শ দিয়ে আসছি। আশা করি পাট এবার ভালো হবে।

উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সুদীপ বিশ্বাস বলেন, এবছর পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর। অন্যান্য ফসলের চাষ কম হওয়ায় পাটচাষের লক্ষমাত্রা অতিক্রম করেছে। এপর্যন্ত সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এই অঞ্চলে তোষাপাট জাতের চাহিদা বেশি। এবার ভারতীয় তোষা বীজ বপন করেছে অধিকাংশা চাষি। চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।