সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

সরিষার আবাদ বৃদ্ধি, ধনবাড়ীতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

ধনবাড়ী(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি
  ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:৪৯
সরিষার আবাদ বৃদ্ধি, ধনবাড়ীতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
ছবি: যায়যায়দিন

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় এবছর সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। একদিকে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গিয়েছে দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ। এরপর ফুল থেকে সরিষার ছেঁই গজিয়ে বাম্পার ফলনের আভাস দিচ্ছে কিছু কিছু জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় সরিষার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছর এ উপজেলায় ২হাজার ২’শ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছিল। এবার এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ২ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। এরমধ্যে ২ হাজার ৪শ ৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে এবার ২শ ৫ হেক্টর জমিতে সরিষা বেশি আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবছর বারি-১৪-১৭ ও বিনা-৯ জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। ধান চাষ করে প্রতিবারই লোকসান গুনার কারণে কৃষকরা সরিষা আবাদ লাভজনক হওয়ায় ঝুঁকে পড়েছেন সরিষা আবাদের দিকে। সরিষা আবাদ করে এ উপজেলায় স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেক কৃষকেরা।

অন্যদিকে স্থানীয় কৃষি বিভাগ সরিষা চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে নানাভাবে প্রণোদনা দিয়েছেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে ৫হাজার ৬’শ জন কৃষককে প্রতি বিঘার জন্য ১০ কেজি এমওপি সার, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১ কেজি করে বীজ বিনামূল্যে দিয়েছেন।

হাতীবান্ধা লাভলু ও ঘোনারবন্ধ এলাকার কৃষক শামছুল হক চিন্তা মিয়া বলেন, সরকারী ভাবে সার ও বীজ দেয়া থেকে কৃষি অফিসারদের সার্বিক পরামর্শে সরিষার আবাদ ভালো করতে পেরেছি বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছি। যদি দাম ভালো থাকে তাহলে আমরা কৃষকরা লাভবান হতে পারব।

মুশুদ্দি পূর্বপাড়া গ্রামের কৃষক হাসান আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সরকারী সহযোগীতা না পেয়েও ২ বিঘা জমি সরিষার আবাদ করেছি। তবে সরকারীভাবে সার ও বীজ সহ প্রয়োজনীয় সঠিক পরামর্শ পেলে হয়ত আরো বেশী ফলন হতো।

বীরতারা ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, কৃষি কে এগিয়ে নিতে সার্বিকভাবে মাঠ পর্যায়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।

ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মাসুদুর রহমান “দৈনিক আমার দেশ” কে জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ও কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে জমির অবস্থানুযায়ী কৃষকদের সঠিক মাত্রায় সার এবং কীটনাশক দেওয়ার পরামর্শ দেওয়াসহ আবহওয়া অনূকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। এ ছাড়া সরিষা আবাদে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ প্রদান করা হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবছর সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে আশা করা যাচ্ছে উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।

যাযাদি/ এমএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে