নওগাঁর বদলগাছীতে আলুর বাম্পার ফলন হলেও দাম কম হওয়ায় লোকশান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
উপজেলা বিভিন্ন এলাকা ঘুড়ে দেখা যায়, বেশ কিছু যায়গাতে আলু তোলা শুরু হয়েছে। কিন্ত বাজারে দাম কম যা দিয়ে কৃষকের আলুর উৎপাদন খরচ পাওয়া বড় কঠিন।
কৃষকরা বলছেন উৎপাদন খরচ সারের দাম অপরিবর্তনীয় থাকলেও কীটনাশক, লেবার, পানি সেচের খরচ অনেক বেশি হওয়ায় লাভের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
এখন রমানা পাপরী প্রতিমন আলুর মূল্য ৩শ টাকা থেকে ৫শ টাকা দরে বিক্রি করছে কৃষকরা। দুই মাস পূর্বে যে কৃষক ক্রয় করেছে প্রতি কেজী ৮০ টাকায়, সেই কৃষক আলু উৎপাদনের পর বিক্রি করছে প্রতি কেজী ১০ টাকায়। বদলগাছী উপজেলায় মোট আবাদী জমির পরিমান ১২৫৪৫ হে: জমি। আলু উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা ৩০৬০হেঃ জমি। আলু চাষ হয়েছে লক্ষ মাত্রার চেয়ে কম হলেও ফলন হয়েছে বেশি। আলুর দাম বেশি হলে সরকারের উপর যেমন চাপ আবার আলুর দাম কম থাকায় সরকারের উপর চাপ সাধারন মানুষের। এবিষয়ে লালুহার গ্রামের কৃষক দিলিপ,জব্বার, মোকছেদ আক্কেলপুর গ্রামের ইউনুস,বাবুল,আজাদ,আরো অনেকে বলেন ১হাজার টাকা প্রতিমন আলু বিক্রয় হলে কোন মতে উৎপাদন খরচ পাওয়া যেত।
এবিষয়ে বদলগাছী কৃষি কর্মকর্তা সাবাব ফারহান বলেন এ বৎসরে আবহাওয়া আলু চাষের অনুকূলে থাকায় ফলন ভাল হয়েছে। ইরি মৌসুমে চাষের খরচ মিটানোর জন্য এবং আলু তোলার পুরো মৌসুমজ চলমান থাকায় বাজারে ব্যাপক সরবরাহের কারনে দাম কম। তাছাড়াও তিনি আরো বলেন আমার লোকজন কৃত্রিম উপায়ে আলু সংরক্ষণ করে আস্তে আস্তে আলু বিক্রয় করার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
যাযাদি/ এমএস