কাক ডাকা ভোর আর গোধূলি লগ্নের ঘন কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা। এর মাঝে বেড়ে উঠা রোপা-আমনের লক লকে শীষ মৃদ বাতাসে দুলছে। সেই সাথে দুলছে কৃষকের মন। এগুলো দেখে মনে মনে স্বপ্নের জাল বুনছেন কৃষক।
এক বুক আশা নিয়ে ভাবছেন বাম্পার ফলনের কথা। মাঠের পর মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহ। চারা রোপনের পর তরতর করে বেড়ে উঠেছে রোপা-আমনের গাছগুলো। শীষ বের হওয়ায় এখন তা ধান গাছে পরিনত হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় যথা সময়ে রোপনকৃত রোপা-আমনের গাছগুলো এখন সবুজের সমারোহ ছড়াচ্ছে। সবুজের সমারোহ দেখে বাম্পার ফলনের আশায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছেন পার্বতীপুর উপজেলার কৃষক।
জানা যায়,দেশের উত্তরাঞ্চলের উদ্বৃত্ত খাদ্য ভান্ডার দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলা। এখানকার প্রধান ফসল ধান। এখানে মাঠের পর মাঠ জুড়ে বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদ হয়। আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে এখানে ধানের বাম্পার ফলনও হয়ে থাকে।
চলতি রোপা- আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় যথা সময়ে কৃষকেরা ধানের চারা রোপণ করেছেন। এখন তা ধান গাছে পরিনত হয়েছে। আর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই ধান কাটা শুরু হবে। তবে ইতোমধ্যে আগাম জাতের ধান কর্তন শেষ হয়েছে।
পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,চলতি রোপা-আমন মৌসুমে পার্বতীপুর উপজেলায় রোপা-আমন আবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল ২৮ হাজার ৮শ' ৮২ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় কৃষকেরা যথা সময়ে চারা রোপণ করতে শুরু করেছেন এবং লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে রোপা-আমনের আবাদ করা হয়েছে। আবাদও হয়েছে বেশ ভালো। সব মিলিয়ে এবারে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রাজিব হুসাইন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি রোপা-আমন মৌসুমে যথা সময়ে চারা রোপণ করাতে এবং বর্তমানে ধানের অবস্থা দেখে ভালো উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাছাড়াও কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের নানা ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যাযাদি/ এস