নেছারাবাদে ড্রাগন ফলের বাম্পার ফলন 

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

নেছারাবাদ উপজেলার সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা আশিক আহমেদ। লেখাপড়া শেষ করে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে এলাকায় রয়েছে তার ব্যাপক সুনাম। তার বারাকা এগ্রো গার্ডেন নামে গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন ধরনের ফলের বাগান। তিনি উদ্যেক্তা হিসেবে সফল। তার বাগানে রয়েছে 

ড্রাগন ফল বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০০৭ সালে থাইল্যান্ড, ফ্লোরিডা ও ভিয়েতনাম থেকে এই ফলের বিভিন্ন জাত আনা হয়। ড্রাগন ফলের গাছ এক ধরনের ক্যাকটাস জাতীয় গাছ। ড্রাগন ফল মূলত আমেরিকার প্রসিদ্ধ একটি ফল যা বর্তমানে আমাদের দেশেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই গাছের কোন পাতা নেই। ড্রাগন ফলের গাছ সাধারনত ১.৫ থেকে ২.৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।

বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সিটিউট (বারি) কতৃক উদ্ভাবিত ড্রাগন ফলের নতুন জাতটি হলো বারি ড্রাগন ফল-১ যা দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়াতে জনপ্রিয় ফল। এ ফলের আকার বড়, পাকলে খোসার রং লাল হয়ে যায় ,শাঁস গাঢ় গোলাপী রঙের, লাল ও সাদা এবং রসালো প্রকৃতির । ফলের বীজগুলো ছোট ছোট কালো ও নরম । একটি ফলের ওজন ১৫০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।

লাল ড্রাগন ফল বা পিটাইয়া। এর খোসার রঙ লাল ও শাঁস সাদা। এই প্রজাতির ফলই বেশি দেখতে পাওয়া যায়। কোস্টারিকা ড্রাগন ফল। খোসা ও শাঁস উভয়ের রঙই লাল। হলুদ রঙের ড্রাগন ফল। এই জাতের ড্রাগন ফলের খোসা হলুদ রঙের ও শাঁসের রঙ সাদা।

বাংলাদেশে উদ্ভাবিত ড্রাগন ফলের জাতগুলো হলো- বারি ড্রাগন ফল-১, বাউ ড্রাগন ফল-১ (সাদা) ,বাউ ড্রাগন ফল-২ ( লাল ), বাউ ড্রাগন ফল-৩।

ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি, মিনারেল এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত। ফলে ফিবার, ফ্যাট, ক্যারোটিণ, প্রচুর ফসফরাস, এসকরবিক এসিড, প্রোটিন ,ক্যালসিয়াম, আয়রন রয়েছে। ড্রাগন ফল 
ক্যারোটিন সমৃদ্ধ থাকায় চোখ ভালো রাখে।

 আঁশের পরিমাণ বেশি থাকায় হজমে সহায়তা করে। এছাড়া আঁশ শরীরের চর্বি কমায়। এই ফলে বিদ্যমান প্রোটিন শরীরের যাবতীয় বিপাকীয় কাজে সহায়তা করে। এর ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত ও দাঁত মজবুত রাখে। ভিটামিন বি-৩ রক্তের কোলেস্টেরল কমায় এবং ত্বক মসৃণ রাখে। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক , দাঁত ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।

উদ্যোক্তা আশিক বলেন, আমার এই বাগানে আল্লাহর রহমতে এবারে ড্রাগন ফল গাছে প্রচুর পরিমাণে ফল ধরেছে। এমনকি গাছ মরে গেলেও তার গোড়া থেকে শাখা বের হয়ে ৪-৫ টি গাছ জন্মায় এবং সেই গাছে প্রচুর ফল ধরেছে। এটি আল্লাহর রহমত। তিনি তার বাগান থেকে ড্রাগন ফল ১৭৫ টাকা হতে ২২৫ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করেন।

যাযাদি/ এস