কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বেড়েছে সরিষার চাষ। বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ যেন ঢেকে গেছে সরিষা ফুলের হলুদ চাদরে। সুন্দর এই দৃশ্য আকৃষ্ট করছে সব ধরণের পথচারীদের। সরিষাক্ষেতে এসে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে অনেকে।
এই উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সরিষার চাষ হয়েছে পদ্মা নদীর বিস্তীর্ণ চরে। তুলনামূলক কম খরচ আর অল্প সময়ে ফসল ঘরে উঠায় উচ্চফলনশীল জাতের সরিষা চাষে ঝুঁকছেন এখানকার চাষীরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্য অনুসারে, এবার উপজেলায় এ বছর সরিষার চাষ হয়েছে ২ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে। গত মৌসুমে হয়েছিল ১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে। সরকার থেকে সহায়তা করা হয়েছে ৫ হাজার ৫৪০ জন সরিষা চাষীকে। কোনো রোগবালাই না হলে প্রতি বিঘা জমি থেকে এবার ৩ থেকে ৪ মণ হারে সরিষা উৎপাদন হবে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস।
উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নেই সরিষার চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বেশি চাষ হয়েছে ফিলিপনগর, মরিচা, রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের পদ্মা নদীর বিস্তীর্ণ চরে। শুধু এসব এলাকাতেই ৬২১ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।
উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের সরিষাচাষী তারিফ ইসলাম জানান, সরকারি সহায়তা নিয়ে এবার এক বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছেন। গাছ ভালো হয়েছে। ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছেন।
তিনি আরও জানান, আমন ধান কাটার পর পরই বোরো আবাদের আগ পর্যন্ত জমি ফেলে না রেখে সরিষার চাষ করেছেন। এ বছর তার বাজারের বাড়তি দামে ভোজ্যতেল কেনার প্রয়োজন পড়বে না জানান। মুক্তার হোসেন নামের অপর এক চাষী বলেন, সরিষার এবার ভালো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। মূলতঃ এটা একটা বাড়তি ফসল হিসেবে আমরা চাষ করি। বাজারে বর্তমানে প্রতি মণ সরিষা ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
চিলমারী চর এলাকার সরিষা চাষী আকরাম হোসেন জানান, এবার ছয় বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছেন। ফুল থেকে ফল আসতে শুরু করেছে। বাড়ির সারা বছরের খাবারের তেলের জন্য রেখে বাকিটা বিক্রি করে দেবেন।
উপজেলার প্রাগপুরের একটি মাঠে কয়েক যুবককে সরিষাক্ষেতে ছবি তুলতে দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে রাকিবুল ইসলাম নামের একজন বলেন, ‘রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম, সরিষার এমন ফুল দেখে ছবি তুলতে নেমেছি।’
যাযাদি/ এস