শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১

ব্যাক্তি বিরোধে ক্ষতিগ্রস্ত বোরো ধানের বীজতলা

মোঃ আবু হেনা, আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)
  ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪২
ব্যাক্তি বিরোধে ক্ষতিগ্রস্ত বোরো ধানের বীজতলা

আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কোদালিয়া হাওরে জলসুখা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলুর ১৩৫ শতাংশ বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পূর্ব বিরোধের জেরে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন মিয়ার লোকজন এ কাজ করেছে বলে চেয়ারম্যান খেলু দাবি করেছেন।

তবে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন মিয়া বলছেন, খেলু তাঁকে ফাসানোর এ জন্য নিজের লোকদ্বারা এ ঘটনা সাজিয়েছেন।

সরজমিনে কোদালিয়া হাওরে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ১৩৫ শতাংশ জমিতে বোরো ধানের বীজতলাহলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নে কর্মরত উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা সোহান আহমেদ বলেন, "আমরা সরজমিনে জমিটি পরিদর্শন করেছি। প্যারট জাতীয় এক ধরণের আগাছানাশক এই বোরো ধানের ছাড়ায় ব্যবহার করা হয়েছে। এটি মূলত বন জঙ্গলের আগাছা পরিষ্কারে ব্যবহার করা হয়। এটি ব্যবহারে দেড় থেকে দুই ঘন্টায় যে কোন চারা, ছোট গাছ পুরোপুলিভাবে নষ্ট হয়ে যায়।

এ বিষয়ে জমির মালিক ফয়েজ আহমেদ খেলু বলেন, "আমি ১৫০ শতাংশ জমিতে হাইব্রিড জাতীয় বোরো ধানের চারা রোপন করেছিলাম। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ জমির চারা তুলেছি মাত্র। গত ২৯ডিসেম্বর সকালে চারা উঠাতে গিয়ে দেখাযায় সব চারা পুড়ে গেছে। ১৩৫ শতাংশ চারা দিয়ে প্রায় ৪০ একর জমি চাষাবাদ করা যেতো। এবং সবকিছু ঠিক থাকলে প্রায় ৩ হাজার মণ ধান উৎপাদন হতো। আমি বিষয়টি মৌখিকভাবে থানায় অবগত করেছি।

তবে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন মিয়া এ অভিযোগকে মিথ্যা দাবি করেছেন। তিনি বলেন, "কিছুদিন পূর্বে চেয়ারম্যান আমার জমি থেকে ধান কেটে নিয়ে গেছে। এখন নিজের লোকজনকে দিয়ে চারা নষ্ট করে আমার উপর দায় চাপাচ্ছেন।

এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ ডালিম আহমেদ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে