গোবিন্দগঞ্জে ফাঁকা জমিতে চলছে আলু চাষ

প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১৩:০৮

মহিমাগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আগাম জাতের আমন ধান কাটার পরই ভাল দাম পাওয়ার আশায় ফাঁকা জমিতে এলাকার কৃষকরা শুরু করেছেন  আগাম আলুর চাষ। বীজসহ উপকরণ মূল্য বৃদ্ধির কারণে আলুর উৎপাদন ব্যয়ও বেড়েছে। তবে উৎপাদিত আলুর বাজার দর ভালো পাবেন এই আশা করছেন আলু চাষীরা। 

অধিক ধান উৎপাদনকারি উপজেলা হিসাবে পরিচিতি জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা চলতি বছরেও অনেক জমিতে আগাম জাতের রোপা আমন ধান চাষ করেন। এ সব জমির রোপা আমন ধান কাটার পর ফাঁকা হওয়া জমিতে আবার শুরু করেন আলু আবাদ। গ্রানোলা, হীরা, খুপরি সেন্দুরী, লাল পাকরি,ফাটা পাকরি, সূর্যমুখী, আরিন্দা, রাজা, ডায়ামন্ড ও কার্ডিনাল সহ নানা জাতের আলু রোপন করা হচ্ছে। ভাল দামের আশায় আলু চাষ বেড়েছে। কিন্তু বীজ সংরক্ষণ না থাকায় অনেক কৃষক চড়া দামে বীজ কিনে আলু চাষ করতে হীমসীম খাচ্ছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সুত্রে  জানা গেছে চলতি মৌসুমে জেলায় ৭ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ইতিমধ্যে ৫শ’ হেক্টর আগাম জাতের আলু লাগানো হয়েছে। 

সাপমারা ইউনিয়নের নরেঙ্গাবাদ গ্রামের বাবলু মিয়া বলেন আমন ধান কাটার পর জমি ফাঁকা ফেলে না রেখে আলু চাষ শুরু করেছি। বীজ,সারসহ কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আলু চাষের ব্যয় বেড়েছে। বর্তমান বাজার দর অব্যহত থাকলে উৎপাদিত আলু আবাদ করে লাভবান হবেন বলেও আশা করেন ।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ বলেন আলুর দাম ভালো পাওয়ায় এবার আলু আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষক। চাষীরা আলু চাষে যাতে কোন ভাবে ক্ষতির শিকার না হয় এ জন্য তাদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। 

যাযাদি/ এস