শেরপুরের সীমান্তবাসী বন্যহাতির আক্রমনে পাকা ধান তছনস 

প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৩৪

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্ত ঘেষা বসবাসকারীদের আসন্ন আমন ফসলের পাকা ধান বন্যহাতির পাল তছনস করে ফেলছে ।

গারো পাহাড়ের বাসিন্দারা বন্যহাতির ভয়াল থাবা ও হামলা থেকে বাঁচতে চায় । হাতিরপাল থেকে   কৃষকের কষ্টে অর্জিত ফসল বাচাঁতে হাতিকে তাড়া করলে অনেকেই হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে নিহত হয়েছেন ইতিপূর্বে । এ নিয়ে  দীর্ঘ ৩২ বছরে হাতির আক্রমনে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৩ জনের মতো । আজও এর কোন সমাধান না হওয়ার ফলে বন্যহাতির অত্যাচার ও হামলায় ফসলের মাঠ ও বাড়িঘর তছনস  করে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত করে আসছে বন্যহাতির দল । 

শুধুমাত্র ফসল নয় বিগত সময় থেকে এ পর্যন্ত ৩৩ জন নিরীহ মানুষকে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে তাজা প্রাণ দিতে হয়েছে । হাতি নিধনের অনেক কার্যক্রম সরকারী ও বেসরকারী এনজিও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অর্থ খরচ করা হলেও তা স্থায়ীভাবে কোন কাজে আসেনি । হাতির পাল তাড়াতে সিমান্তবাসীরা রাতের ঘুম হারাম করে দলবদ্ধ হয়ে বাড়িঘর ও ফসলের মাঠ পাহাড়া দিয়েও লাভ হচ্ছে না । ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে বিগত ৩১ বছর আগে বন্যহাতির একটি দল বাংলাদেশের ভূখন্ডে প্রবেশ করে গারো পাহাড়ে অভয়াশ্রম গড়ে তুলে দিনদিন বংশবৃদ্ধি করছে ।

 আজ হাতির অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে সিমান্তবাসী গারো পাহাড়ের এলাকয় বসবাসকারীরা । ভারতের সিমানায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার ফলে হাতির পাল আর ফিরে যেতে না পেরে বাংলাদেশেই থেকে যায় । তাদের খাদ্যের সংকট থাকায় পাল বেধে লোকালয় থেকে বাহির হয়ে এসে ফসলে হামলা চালায় । হাতির দল এখন আগের মতো আর ভয় না পেয়ে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে । পাহাড়ের গজনী, ছোট গজনী,নকশী,তাওয়াকুচা, কাংশা বাকাকুড়া,গরুচরণ দুধনই,পানবর সহ অন্যান্য গ্রামে হাতির পাল বেধে হামলা চালায় । ভূক্তভোগীরা জানায় হাতির অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ এ থেকে রক্ষা পেতে স্থায়ী ভাবে সমাধানের দাবি জানান এলাকাবাসী । 

গভীর রাতে হাতিরপাল আক্রমন করে  কৃষক ও দিনমুজুরের বাড়িতে হাতি হামলা করে বাড়িঘর তছনস করে ফেলে । এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভ্ইূয়া জানান সমস্যাটা দীর্ঘদিনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে হাতির বিষয়ে কথা বলে পাহাড়বাসীকে বাচাঁতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

যাযাদি/ এস