শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাণিজ্য সম্প্রসারণে হচ্ছে বাংলাদেশ-জাপান জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রম্নপ

যাযাদি রিপোর্ট
  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০
বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি

বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ-জাপান জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রম্নপ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠনো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার। জাইকাসহ বেশ কিছু সংস্থা বাংলাদেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা আছে। জাপান-বাংলাদেশ জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রম্নপ গঠন করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে, তা সমাধান করা সম্ভব।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রম্নপ গঠন করে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে। তৈরি পোশাক ও ওষুধ জাপানে রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে হালকা যন্ত্রপাতি উৎপাদনে বেশ ভালো করছে, জাপান এ খাতে সহায়তা দিতে আগ্রহী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরকালে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

টিপু মুনশি বলেন, জাপান বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করছে। জাপানের প্রতি বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশে জাপানের ব্যবসা-বাণিজ্যও আছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কিছুদিনের মধ্যে জাপান সফর করবেন। এ সময় বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা কমিশন এবং জাপানের জাপান ফেয়ার ট্রেড কমিশনের মধ্যে একটি এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য জাপানের জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেটরো) এবং বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরোর মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করা হচ্ছে। আশা করা যায় আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অনেক বৃদ্ধি পাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে অনেক দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে। জাপানেরও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে। গত বছর বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে জাপান থেকে। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশে বাণিজ্যও বাড়ছে।

গত ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ১১৩১ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আমদানি ছিল ১৮৬৯ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর রপ্তানি বেড়ে এক হাজার ৩৬৫ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। একই সময়ে আমদানি হয়েছে এক হাজার ৮৫২ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, 'বাংলাদেশ ইজ অফ ডুয়িং বিজনেসর্ যাংকিংয়ে এগিয়ে যাওয়ায় জাপান খুশি। জাপান আশা করে বাংলাদেশের জিডিপি ডবল ডিজিটে উন্নীত হবে। জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। জাপানের অনেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। বাংলাদেশ চাইলে জাপানের সঙ্গে এফটিএ (মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি) করতে পারে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<89263 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1