আজকের যায়যায়দিন

আগামী সপ্তাহ থেকে মার্কিন কৃষকদের দ্বিতীয় দফায় বাণিজ্য সহায়তা প্রদান শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি মন্ত্রণালয় (ইউএসডিএ)। চলতি বছরের মে মাসে তিন কিস্তিতে ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য সহায়তা কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়, যার দ্বিতীয় কিস্তি দেওয়া শুরু হচ্ছে। খবর নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ।

মূলত চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন কৃষকদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে এ সহায়তা কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক আরোপের পর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সয়াবিন ও শূকরের মাংসসহ যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি পণ্য আমদানির ওপর শুল্কারোপ করে চীন।

এক বিবৃতিতে ইউএসডিএ জানিয়েছে, এরই মধ্যে প্রথম কিস্তিতে ২০১৯ প্যাকেজের ৫০ শতাংশ অর্থ গ্রহণ করার পর এবার দ্বিতীয় কিস্তিতে কৃষকরা মোট অর্থের ২৫ শতাংশ পাবেন। বিবৃতিতে মার্কিন কৃষিমন্ত্রী সনি পারডিউ বলেন, অন্যায্য বাণিজ্য পদক্ষেপ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কঠিন একটি বছর পার করতে হয়েছে কৃষকদের। দ্বিতীয় কিস্তির কারণে থ্যাংকসগিভিংয়ের আগে প্রয়োজনীয় অর্থ হাতে পাবেন কৃষকরা।

দ্বিতীয় কিস্তির জন্য আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন চলবে বলে বিবৃতিতে উলেস্নখ করা হয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতির প্রয়োজনে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তৃতীয় কিস্তি প্রদান করা হতে পারে বলে ইউএসডিএ জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমছেই

এদিকে উত্তেজনা নিরসনে বাণিজ্য চুক্তির 'প্রথম পর্যায়' নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। কিন্তু কবে নাগাদ এটি চূড়ান্ত হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

২০১৮ সালে কৃষকদের বাণিজ্য সহায়তা হিসেবে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার ব্যয় করে মার্কিন সরকার। এরই মধ্যে বেশকিছু কৃষি সংগঠন তৃতীয় বছরের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে।

এদিকে কৃষকদের সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে এতদিন যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হতো, তা পরিবর্তন করেছে ইউএসডিএ। বর্তমানে প্রতি ফসলের পরিবর্তে কৃষকদের কাউন্টিপ্রতি আলাদা হারে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

গত সপ্তাহের শুরুতে ইউএসডিএর কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে কর্মসূচির সমালোচনা করেছেন ডেমোক্রেটিক সিনেটরদের একটি দল। চিঠিতে তারা জানান, অর্থসহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণের কৃষকদের অন্যায্য সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।