শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টানা চার সপ্তাহ পতনে শেয়ারবাজার

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমার ফলে ডিএসইর সব সূচকও কমেছে। গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৭৭ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৭৯ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ
যাযাদি রিপোর্ট
  ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

দেশের শেয়ারবাজারে দরপতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রায় পাঁচশ কোটি টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে ডিএসই।

সূচক ও বাজার মূলধনের পাশাপাশি কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। আর বাজারটির প্রধান মূল্যসূচক কমেছে দেড় শতাংশের ওপরে। বাজার মূলধন কমেছে দশমিক ১২ শতাংশ। এর মাধ্যমে টানা চার সপ্তাহ পতনের মধ্যে থাকলো দেশের শেয়ারবাজার।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৪০৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৪৪২ কোটি টাকা।

আগের সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ৫ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। তার আগের সপ্তাহে ৬ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা এবং তার আগের সপ্তাহে কমে ৭ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ টানা চার সপ্তাহের পতনে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে ডিএসই।

বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ৮৩টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ২৩৯টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমার ফলে ডিএসইর সব সূচকও কমেছে। গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৭৭ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৭৯ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ১ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ২১ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২০ শতাংশ। আর গত সপ্তাহে ডিএসই শরিয়াহ্‌ সূচক কমেছে ৩৩ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৯০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ১০ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৮ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি কমেছে গড় লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৭৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪২১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৪১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বা ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৯৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ১ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ২১১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। মোট লেনদেন বাড়ার কারণ গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে আশুরা উপলক্ষে শেয়ারবাজারের এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়।

গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের মধ্যে 'এ' গ্রম্নপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দাঁড়িয়েছে ৮৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এছাড়া মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ ছিল 'বি' গ্রম্নপের দখলে। মোট লেনদেনে 'জেড' গ্রম্নপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দশমিক ৯৮ শতাংশ। আর 'এন' গ্রম্নপের অবদান ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল টিউবসের শেয়ার। কোম্পানিটির ১২০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মুন্নু জুট স্টাফলার্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ৫২ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জেএমআই সিরিঞ্জ।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, লিগাসি ফুটওয়্যার, স্টাইল ক্রাফট, বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল, ফরচুন সুজ, মুন্নু সিরামিক এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ কোম্পানি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<67643 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1