শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

তারল্য সংকটে পুঁজিবাজার

যাযাদি রিপোটর্
  ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:১৩

নিবার্চনের আগে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে দেশের পঁুজিবাজারে। আপাত দৃষ্টিতে তেমন বড় কোন নিবার্চনী সহিংসতা না থাকলেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট রয়েছে। যার কারণে এখনো অধিকাংশ বড় বিনিয়োগকারী যারা মূলত বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন তারা সাইড লাইনে রয়েছেন। ফলে বাজারে এক ধরনের নগদ টাকার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে লেনদেনে। এরই ধারবাহিকতায় গত সপ্তাহের পাঁচ কাযির্দবসেই (৯-১৩ ডিসেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। এতে সপ্তাহটিতে ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক হারিয়েছে দেড় শতাংশের ওপরে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেন ও বাজার মূলধনের পরিমাণ। সপ্তাহের শেষ কাযির্দবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৭৯ হাজার ৮২২ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কাযির্দবসে ছিল তিন লাখ ৮৩ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা। অথার্ৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে তিন হাজার ৮০৩ কোটি টাকা। এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৮১ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৫৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ৫১ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৮ শতাংশ। অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ১৮ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বা এক শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ১৭ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৪২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১১৭টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। দাম কমেছে ২০৯টির এবং অপরিবতির্ত রয়েছে ২০টির দাম। এদিকে সপ্তাহের প্রতি কাযির্দবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫১১ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৬০০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। অথার্ৎ প্রতি কাযির্দবসে গড় লেনদেন কমেছে ৮৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা বা ১৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৫৫৫ কোটি দুই লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় তিন হাজার তিন কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৪৪৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা বা ১৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮১ দশমিক ৭১ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এ ছাড়া বাকি তিন দশমিক ৭২ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ১২ দশমিক ২৩ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং দুই দশমিক ৩২ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৭২ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৮২ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফামাির্সউটিক্যালের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৭১ শতাংশ। ৬৫ কোটি ২৩ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জেএমআই সিরিঞ্জ। লেনদেনে এরপর রয়েছে- ওয়াটা কেমিক্যাল, এসকে ট্রিমস, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, ন্যাশনাল টি, খুলনা পাওয়ার, ফামার্ এইড এবং সোনালি আঁশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে