শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইতিবাচক ধারায় পুঁজিবাজার

যাযাদি রিপোটর্
  ১০ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ১১ নভেম্বর ২০১৮, ১০:২৯

টানা নেতিবাচক প্রবণতা কাটিয়ে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজার। সূচক এবং লেনদেনের পালে লেগেছে হাওয়া। যার প্রভাবে গেল সপ্তাহে দেশের দুই পঁুজিবাজারেই বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। টানা পতনে প্রায় সব শেয়ার এখন দীঘর্ মেয়াদি বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত। আর সে কারণেই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বাজারে ফিরছেন। যার প্রভাব দেখা গেছে লেনদেনের পরিসংখ্যানে। এদিকে বাজার পযাের্লাচনায় দেখা গেছে গত সপ্তাহের পাঁচ কাযির্দবসের (৪ থেকে ৮ নভেম্বর) মধ্যে তিন দিন দেশের শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। এরপরও বিগত সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসসিএক্স বেড়েছে। তবে কমেছে অপর দুটি মূল্যসূচক। এদিকে মূল্যসূচকে মিশ্র প্রবণতা থাকলেও কিছুটা বেড়েছে লেনদেন। তবে বাজারটিতে কমেছে মূলধনের পরিমাণ। সপ্তাহের শেষ কাযির্দবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ২২২ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কাযির্দবসে ছিল ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা। অথার্ৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা। এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য এক শতাংশ বেড়েছে। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছিল ২৩ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৫ শতাংশ। অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ৬ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছিল ১০ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ৫ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছিল ৭ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৩ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১৫৯টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে কমেছে ১৬২টির এবং অপরিবতির্ত রয়েছে ২৩টির দাম। এদিকে গত সপ্তাহের প্রতি কাযির্দবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৮২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার। অথার্ৎ প্রতি কাযির্দবসে গড় শেয়ার লেনদেন বেড়েছে ৩৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা বা ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এ সময়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৯৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৪১১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ১৮৪ কোটি ৬ লাখ টাকা বা ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৭৫ দশমিক ৯৭ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এছাড়া বাকি শেয়ারের মধ্যে ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ ছিল ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ১৫ দশমিক ১৮ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খুলনা পাওয়ার কোম্পানির শেয়ার। প্রতিষ্ঠানটির মোট ১১২ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসকে ট্রিমসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আর ৭৪ কোটি ৭০ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভিএফএস থ্রেড ডাইং। লেনদেনে এরপর রয়েছে- ইনটেক লিমিটেড, বিবিএস কেবলস, নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, সায়হাম কটন এবং ড্রাগন সোয়েটার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে