আজকের যায়যায়দিন

বড় দরপতনের এক কাযির্দবস পরই মঙ্গলবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটির মূল্যসূচক বেড়েছে। তবে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। অবশ্য, সিএসইতে মূল্যসূচকের পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে।

তবে মূল্যসূচক বাড়লেও এদিন ডিএসইতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, তার থেকে বেশি কমেছে। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৩৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৫২টি। আর ৪৯টির দাম অপরিবতির্ত রয়েছে।

বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিবার্চন সামনে রেখে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চাপা আতঙ্ক কাজ করছে। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে। গত কয়েকদিন টানা দরপতনের পর বাজার কিছুটা ঘুরে দঁাড়ালেও গত সোমবার বড় ধরনের পতনের মুখে পড়ে। ওইদিন বাজার পযাের্লাচনা করে দেখা যায়, ক্রয়ের চেয়ে বিক্রির চাপ বেশি। অথার্ৎ বিনিয়োগকারীরা তাদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে বেরিয়ে যেতে চাচ্ছে। যার ফলে বাজারে অস্থিতিশীলতা লক্ষ করা যাচ্ছে।

গতকাল ডিএসই সূত্রে জানা যায়, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট বেড়ে পঁাচ হাজার ৩৯৯ পয়েন্টে দঁাড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ছয় পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২৫৪ পয়েন্টে দঁাড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় তিন পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৯০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৯২ কোটি ৫২ লাখ টাকার। আগের কাযির্দবসে লেনদেন হয় ৪৯৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সেই হিসাবে লেনদেন কমেছে এক কোটি ৪১ লাখ টাকা।

তিন দিনে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৫ হাজার ৮৬৭ টাকা কমল / সোনার দাম আরও কমল

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে কেপিসিএল’র শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৮ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সামিট পাওয়ারের ২৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২০ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন। লেনদেনে এরপর রয়েছে অ্যাকটিভ ফাইন, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, স্কয়ার ফামাির্সউটিক্যালস, সিলভা ফামাির্সউটিক্যালস, বিবিএস কেবলস, ইনটেক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সাবির্ক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ২৩ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।