শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ কার্যদিবসে বড় উত্থান

যাযাদি রিপোর্ট
  ৩১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ঈদুল আজহার আগের শেষ কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসেই ঊর্ধ্বমুখী থাকল শেয়ারবাজার।

মহামারি করোনার প্রকোপে ভুগতে থাকা শেয়ারবাজারে বেশকিছু দিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ঈদের আগের শেষ সপ্তাহে এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সব থেকে বেশি দেখা গেছে। ঈদের আগে শেয়ারবাজারে এমন টানা উত্থান হওয়ায় বিনিয়োগকারীরাও খুশি।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন শেয়ারবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। যার প্রভাব দেখা যাচ্ছে শেয়ারবাজারে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে চার হাজার ২১৪ পয়েন্টে উঠেছে। এর মধ্যে টানা পাঁচ দিনের উত্থানে সূচকটি ১৩৪ পয়েন্ট বাড়ল।

এ বিষয়ে বিনিয়োগকারী মনির হোসেন বলেন, মহামারি করোনা সব আনন্দ কেড়ে নিয়েছে। শেয়ারবাজারেও অনেক দিন ধরে মন্দা চলছে। সব মিলে আমরা খুব ভালো নেই। তবে ঈদের আগে শেয়ারবাজারে উত্থান প্রবণতা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে। ঈদের পর বাজারে এই চিত্র অব্যাহত থাকলে লোকসানের পরিমাণ কমবে।

তিনি আরও বলেন, কারসাজি চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ায় শেয়ারবাজার থেকে বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রায় উঠে গেছে। আস্থার সংকটেই শেয়ারবাজারে ভয়াবহ দরপতন হয়েছে। সম্প্রতি বিএসইসির কিছু পদক্ষেপ নতুন করে আশা জাগাচ্ছে। বিএসইসি তাদের এ অবস্থান ধরে রাখতে পারলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবেই। তখন বাজারে টাকার অভাব হবে না।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শেয়ারবাজারের ভয়াবহ পতনে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা অনেক লোকসানে রয়েছেন। ঈদের আগের এ উত্থানের কারণে লোকসানের পরিমাণ হয়তো কিছুটা কমবে। এরপরও অনেকেই এখনো লোকসানে রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারবাজারে কোনো সুশাসন ছিল না। বর্তমান কমিশন সুশাসন ফেরানোর চেষ্টা করছে। অনিয়মের কারণে অনেককেই নতুন কমিশন জরিমানা করেছে। আমরা চাই জরিমানার পাশাপাশি অনিয়মকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। তাহলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা এবং বাজারে সুদিন ফিরবে।

এদিকে প্রধান সূচকের পাশাপাশি বড় উত্থান হয়েছে অপর দুই সূচকের। এর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৪২০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্‌ ১১ পয়েন্ট বেড়ে ৯৭৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন অংশ নেওয়া ১৬২ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৮টির। আর ১২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এর মাধ্যমে তিন মাসেরও বেশি সময় পর যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে তার থেকে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ল।

শেয়ারবাজারের ভয়াবহ ধসের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ মার্চ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন দাম) নির্ধারণ করে নতুন সার্কিট ব্রেকার চালু করা হয়। এতে দরপতন ঠেকানো গেলেও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন এক প্রকার বন্ধ হয়ে যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<107596 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1