শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সীমান্তে উত্তেজনার জের ভারতীয় বন্দরগুলোয় আটকা পড়ছে আমদানিকৃত চীনা পণ্য

যাযাদি ডেস্ক
  ০২ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যেমনটি আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা-ই হলো। ভারত ও চীনের মধ্যকার সীমান্ত উত্তেজনা শেষ পর্যন্ত সাপস্নাই চেইনে প্রভাব ফেলল। চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের পাহাড় জমেছে ভারতের বন্দরগুলোয়। কারণ দেশটির সরকার সেগুলো খালাসের অনুমতি দিচ্ছে না। ফলে চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে যাচ্ছে ভারতের অর্থনীতিতে। খবর বস্নুমবার্গ

ওষুধ খাতের কাঁচামাল অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই) থেকে শুরু করে জনপ্রিয় মোবাইল ফোনগুলোর যন্ত্রাংশ- ভারতীয় উৎপাদকরা প্রায় সবই আমদানি করেন চীন থেকে। দুই দেশের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থায় তাদের আমদানিকৃত কাঁচামালগুলোও আটকা পড়েছে বন্দরে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, ঠিক কী কারণে চালান ছাড় করা হচ্ছে না, তা আমদানিকারকদের সুনির্দিষ্টভাবে জানানোও হচ্ছে না।

ভারতের ফার্মাসিউটিক্যাল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান দিনেশ দুয়া বলেছেন, 'কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চীন থেকে আসা চালানগুলো ছাড় করছেন না। কেন এসব চালান ছাড় করা হচ্ছে না, তারও ব্যাখ্যা দিচ্ছেন না তারা। পাঁচদিন ধরে এ অবস্থা চলছে। বর্তমানে আমরা একেবারে অসহায় অবস্থায় রয়েছি। কারণ চীন ছাড়া বিকল্প উৎসও নেই আমাদের।'

নেক্টর লাইফসায়েন্সেস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দুয়া জানান, ওষুধ কোম্পানিগুলোকে বর্তমানে কোনো কারণ ছাড়াই প্রতিদিন সাড়ে ৩ লাখ রুপি ডেমারেজ চার্জ গুনতে হচ্ছে। এ অচলাবস্থার সুরাহার জন্য তিনি ওষুধ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি পাঠালেও কোনো কাজ হয়নি।

উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদকরাও। বন্দর থেকে যন্ত্রাংশ ছাড় করা না হলে তারা আর কতদিন উৎপাদন চালিয়ে যেতে পারবেন, সে বিষয়েও সন্দিহান। আর এমন এক সময়ে এ সংকট তৈরি হলো, যখন নভেল করোনাভাইরাসের লকডাউন শেষে মাত্রই উৎপাদনে ফিরতে শুরু করেছে কারখানাগুলো।

চীন থেকে আমদানিকৃত কাঁচামাল ছাড়করণ না হলে ভারতীয় উৎপাদকরা কতটা বিপাকে পড়বেন, তার কিছু পরিসংখ্যানগত উদাহরণ দেওয়া যাক। ভারত তাদের মোট বাল্ক ড্রাগ ও ইন্টারমেডিয়েটের ৭০ শতাংশই চীন থেকে আমদানি করে। দেশটিতে উৎপাদিত ইলেকট্রনিক পণ্যের ৩৭ শতাংশ, কনজিউমার ইলেকট্রনিকস পণ্যের ৪৫ শতাংশ এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রক ও রেফ্রিজারেটরের ৪৪ শতাংশ যন্ত্রাংশ চীন থেকে আসে।

ভারতের সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে এই চীনের সঙ্গেই। গত বছর তারা চীন থেকে প্রায় ৬ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। বিপরীতে রপ্তানি করেছে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পণ্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<104414 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1