শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভ্যাট আইন-২০১২ ও আয়কর অধ্যাদেশে নতুন ধারা বাতিলের দাবি

যাযাদি রিপোর্ট
  ৩০ জুন ২০২০, ০০:০০

বাজেট অর্থনীতির ওপর কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্যাট আইন-২০১২ এবং আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এ সংযোজন করা কিছু ধারা আইনে অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিউআইএলডি)।

সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সম্মিলিত বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, 'এ বছরের অর্থ বিল পর্যালোচনা করে আমরা দেখতে পেয়েছি যে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এবং ভ্যাট আইন-২০১২-এ কিছু নতুন ধারা সংযোজন করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা শুধু এই কোভিড-১৯ মহামারির সময়েই নয়, সাধারণভাবেই ব্যবসায় পরিচালনায় জটিলতা বাড়াবে, ব্যয়বৃদ্ধির কারণ হবে। একই সঙ্গে রাজস্ব বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে না বরং রাজস্ব ব্যবস্থাপনায়ও জটিলতার সৃষ্টি করবে।'

বিবৃতিতে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চালনকে বাধাগ্রস্ত হতে পারে মূল্য সংযোজন কর আইন ২০১২ুতে-এমন ধারাগুলোর মধ্যে আছে ব্যবহারের ভিত্তিতে ইনপুট রেয়াত, আপিলের জন্য পরিশোধযোগ্য বিতর্কিত ভ্যাট ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ অর্থাৎ দ্বিগুণ করা, ইনপুট ভ্যাট রেয়াতে বৈধ ব্যবসার খরচের ওপর বাধা-নিষেধ এবং বিস্তৃতভাবে উইথ হোল্ডিং ভ্যাট পুনরায় চালুকরণ। আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর এমন ধারাগুলোর মধ্যে আছে টার্নওভারের শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত অনুমোদনযোগ্য বিজ্ঞাপন ব্যয়ের ওপর বাধা-নিষেধ, করপোরেট করহার এবং গ্র্যাচুইটির ওপর কর।

প্রস্তাবিত বাজেটে এই ধারাগুলো অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি জানিয়েছে এমসিসিআই, ডিসিসিআই ও বিউআইএলডি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ৬৬ দিনের সাধারণ কর্মবিরতির পর বাংলাদেশের স্থানীয় ব্যবসাগুলোর ৩০ থেকে ৯০ শতাংশ বিক্রি কমে গেছে। তারা শুধু কোনো রকমে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। অধিকাংশ ক্রেতাই আয় কমে যাওয়া, কর্মহীন হয়ে পড়া, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা থেকে ব্যয়সংকোচন করে শুধু খাদ্য এবং ওষুধের মতো অত্যাবশ্যক নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে ব্যয় সীমিত রেখেছে। গৃহনির্মাণ, গণপরিবহণ থেকে টেলিযোগাযোগ সব খাতেই চাহিদায় ধস নেমেছে। এ অবস্থায় যা প্রয়োজন, তা হলো স্থানীয় চাহিদা বৃদ্ধি করে দেশীয় অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করা। বাজেটের মাধ্যমে সমগ্র অর্থনীতির সব খাতে অর্থ সঞ্চালন করা এবং নীতি সহায়তামূলক পদক্ষেপ নেওয়াটা এখন অবশ্য প্রয়োজন। যতগুলো খাতে সম্ভব চাহিদা ও সরবরাহে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হবে। এটা অনুধাবন করেই প্রধানমন্ত্রী বিচক্ষণতার সঙ্গে অতি দ্রম্নত প্রণোদনা ঘোষণা করে এটি ইতিবাচক সহায়ক আবহাওয়া সৃষ্টি করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<104255 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1