শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
বিদেশি অনুদান

প্রতিশ্রম্নতি অর্ধেকে, বেড়েছে সুদ-আসল পরিশোধের হার

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৮ জুন ২০২০, ০০:০০

করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি দারুণভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দাতা সংস্থাগুলোর আর্থিক সহযোগিতার (ঋণ ও অনুদান) প্রতিশ্রম্নতিতেও।

বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থের জোগান দিতে দেশের সরকার বিদেশি সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ঋণ ও অনুদান নিয়ে থাকে। অথচ গত অর্থবছরের (২০১৮-১৯) তুলনায় চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে আর্থিক প্রতিশ্রম্নতির পরিমাণ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। অনুদানের ক্ষেত্রে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে আরও বেশি।

তুলনামূলকভাবে অনুদানের প্রতিশ্রম্নতি প্রায় চারভাগের একভাগে নেমে এসেছে। অন্যদিকে দেশের অর্থনীতি করোনায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের বিদেশি ঋণের আসল ও সুদবাবদ প্রায় ১৮ কোটি মার্কিন ডলার বাড়তি পরিশোধ করতে হয়েছে সরকারকে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে পাওয়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাস (মে পর্যন্ত) এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

বিষয়গুলো সম্পর্কে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনার কারণে বিদেশি আর্থিক প্রতিশ্রম্নতি কিছুটা কমেছে। অনুদানের অবস্থা খারাপ হলেও চলতি অর্থবছরের বাকি এক মাসে সেটা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা যাবে। আর বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল তুলনামূলক বাড়তি পরিশোধের বিষয়টিকে তারা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। তারা মনে করছেন, সুদ ও আসল বাড়তি পরিশোধ মানে দেশে উন্নয়ন বেশি হচ্ছে।

ইআরডি সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত সময়ে বিদেশি আর্থিক সহযোগিতার প্রতিশ্রম্নতি পাওয়া গেছে ৪৩৫ কোটি ৭৯ লাখ ৪ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে অনুদান ৩৩ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ডলার এবং ঋণ ৪০১ কোটি ৯৬ লাখ ৬ হাজার ডলার। যেখানে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মে পর্যন্ত সময়ে বৈদেশিক প্রতিশ্রম্নতি ছিল ৮১১ কোটি ৩৩ লাখ ৪ হাজার ডলার। এর মধ্যে অনুদান ছিল ১২৫ কোটি ৫৭ লাখ ডলার এবং ঋণ ছিল ৬৮৫ কোটি ৭৬ লাখ ৪ হাজার ডলার।

অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে প্রতিশ্রম্নতি কমেছে ৩৭৫ কোটি ৫৪ লাখ ডলার।

গত অর্থবছরের ১২৫ কোটি ৫৭ লাখ ডলারের জায়গায় চলতি অর্থবছরে প্রতিশ্রম্নত অনুদান মিলেছে ৩৩ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ডলার। অর্থাৎ অনুদান কমেছে ৯১ কোটি ৭৫ লাখ ডলারে।

সুদ ও আসলে বিদেশি ঋণ পরিশোধের বিষয়ে ইআরডি সূত্র বলছে, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে সরকার সুদ ও আসল মিলিয়ে পরিশোধ করেছে ১৬১ কোটি ৭৯ লাখ ৭ হাজার ডলার। এর মধ্যে আসল দিয়েছে ১১৮ কোটি ২৮ লাখ ৮ হাজার ডলার এবং সুদ দিয়েছে ৪৩ কোটি ৫০ লাখ ৯ হাজার ডলার। গত অর্থবছরের এই সময়ে সরকার সুদ ও আসলে পরিশোধ করেছিল ১৪৩ কোটি ৩২ লাখ ১ হাজার ডলার। এর মধ্যে আসল দিয়েছিল ১০৭ কোটি ৩৩ লাখ ১ হাজার ডলার এবং সুদ দিয়েছিল ৩৫ কোটি ৯৯ লাখ ডলার।

অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে ১৪ কোটি ৪৭ লাখ ৬ হাজার ডলার বাড়তি সুদ ও আসলে পরিশোধ করতে হয়েছে।

এর মধ্যে বাড়তি ১০ কোটি ৯৫ লাখ ৭ হাজার ডলার আসল এবং প্রায় ৭ কোটি ৫১ লাখ ডলার সুদ দিতে হয়েছে। ইআরডি সূত্র আরও বলছে, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের এই সময়ে কিছুটা বাড়তি অর্থছাড় করেছে বিদেশি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে ৫২৩ কোটি ৭৩ লাখ ২ হাজার ডলার ছাড় করেছে। এর মধ্যে ৫০১ কোটি ৪ হাজার ডলার ঋণ এবং ২২ কোটি ৭২ লাখ ৮ হাজার ডলার অনুদান। যেখানে গত অর্থবছরের ১১ মাসে ৫২১ কোটি ৩৪ লাখ ডলার ছাড় করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৯৭ কোটি ৪৫ লাখ ডলার ঋণ এবং ২৩ কোটি ৮৯ লাখ ডলার অনুদান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<103958 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1