যায়যায়দিন: কোথায় আছেন? কেমন আছেন?
সানজিদা: আমাদের লিগ বন্ধ হওয়ার পরই ১৭ মার্চ ময়মনসিংহে (কলসিন্দুরে) নিজের বাড়িতে চলে এসেছি। পরিবারের সঙ্গে আছি। তারপরও ভালো লাগছে না। মাঠে খেলা নেই। দেশের করোনা পরিস্থিতি দেখে খারাপ লাগছে।
যায়যায়দিন: করোনা প্রতিরোধে কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?
সানজিদা: বাইরে তেমন একটা যাওয়া হয় না। খুব দরকারে যখন যাই মাস্ক পড়ে নেই। বাসায় থাকলেও বার বার হাত ধুই। গরম পানি পান করি।
যায়যায়দিন: আপনাদের ওইখানের বর্তমান অবস্থা কী?
সানজিদা: এখানে বেশির ভাগ মানুষই সতর্ক। তবে অনেকেই শুনেছি নিয়মকানুন মানছেন না। এটা ঠিক হচ্ছে না। সারা দেশের মানুষেরই উচিত নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করে ঘরে থাকা। সব নিয়ম মেনে চলা।
যায়যায়দিন: তাহলে দেশের খবর বেশ রাখছেন। কীভাবে সম্ভব হয়?
সানজিদা: আমি সময় পেলেই অনলাইনে পত্রিকা পড়ার চেষ্টা করি। দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে জেনে নেই।
যায়যায়দিন: এই পরিস্থিতিতে অনুশীলন কীভাবে করছেন? ফিটনেস কীভাবে ধরে রাখছেন?
সানজিদা: এখানে আসার আগে ক্লাবের কোচ অদিতি আপু ও জাতীয় দলের কোচ ছোটন ভাই বলেছেন যেন ফিটনেস ঠিক রাখি। কিন্তু আমার সামনে এইচএসসি পরীক্ষা। তাই পড়ার চাপে অনুশীলন করতে পারছি না। তবে যতটা সম্ভব খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি, যাতে ওজন না বেড়ে যায়।
যায়যায়দিন: লিগে নিজের দলের শিরোপা জয়ের বিষয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসী?
সানজিদা: বসুন্ধরা অবশ্যই ভালো দল। আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই খেলব। তবে লিগে আরও অনেক ভালো দল আছে। যেমন উত্তরবঙ্গ, নাসরিন। এখনো অনেক খেলা বাকি। তারপরও লড়াই করে আমরাই শিরোপা জিতব আশা করি।
যায়যায়দিন: করোনার কারণে এ বছর যদি আর কোনো খেলা না হয়। তার কতটা প্রভাব আপনাদের ফিটনেসে পড়বে?
সানজিদা: মাঠে খেলা না থাকলে ফিটনেস ধরে রাখা সম্ভব না। ক্লাব ছুটি তাই যে যার বাড়িতে চলে গেছে। একা একা অনুশীলন করে শতভাগ ফিটনেস ধরে রাখা সম্ভব না। যখন আমরা জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকি বা ক্লাবে থাকি, তখন একটা নিয়মের মধ্যে থাকা হয়।
যায়যায়দিন: ভক্তদের উদ্দেশে করোনা বিষয়ে কিছু বলতে চান?
সানজিদা: ঈদে সবাই সাবধান থাকবেন। সবাই সৃষ্টিকর্তাকে ডাকবেন। এই ভাইরাস তিনি দিয়েছেন। তিনিই এর থেকে রক্ষা করবেন। তবে আমাদেরকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। এর আগে সাধারণ ছুটিতে সবাই গাদাগাদি করে বাড়িতে গিয়ে করোনার ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।