বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সবার আগে ফিটনেসে গুরুত্ব নাসিরের

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ও ঢাকা আবাহনীর ডিফেন্ডার নাসির উদ্দিন চৌধুরী। ফুটবলের শুরু থেকেই ফিটনেস নিয়ে কোনো ছাড় দেননি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ২০০৫ সালে লাইবেরিয়ায় শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েও ছাড়েননি অনুশীলন। এই করোনাকালেও রোজা রেখে প্রতিদিন এক ঘণ্টা অনুশীলন করছেন। দুই মেয়ে আর স্ত্রী নিয়ে সুখের সংসার নাসিরের। টুকিটাকি ঝগড়া হয় শুধু ফুটবল নিয়েই। দৈনিক যায়যায়দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন এই ফুটবলার।
নতুনধারা
  ১৫ মে ২০২০, ০০:০০
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ডিফেন্ডার নাসির উদ্দিন চৌধুরী -ফাইল ফটো

যায়যায়দিন: কেমন আছেন? কোথায় আছেন?

নাসির : আলহামদুলিলস্নাহ ভালো আছি। এখন চট্টগ্রামে নিজ বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে আছি। ক্লাব ছুটির পর চট্টগ্রামে চলে এসেছি।

যায়যায়দিন: পরিবারের সঙ্গে থাকতে পেরে কেমন লাগছে?

নাসির : আমার দুটো মেয়ে। বড় জনের নাম তাইবা চৌধুরী মাইশা ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। ছোট মেয়ের নাম তাসনিয়া চৌধুরী ওর বয়স চার বছর এখনো স্কুলে দেইনি। প্রায় দশ বছর পর পরিবারকে এতটা সময় দিতে পারছি। সেজন্য কিছুটা ভালো লাগছে। বাচ্চারাও খুশি আব্বুকে কাছে পেয়েছে। কিন্তু দেশের মানুষের জন্য খুব খারাপ লাগছে। করোনার জন্য মানুষ অনেক কষ্ট পাচ্ছে।

যায়যায়দিন: ফিটনেস কীভাবে ধরে রাখছেন?

নাসির : বাইরে যাবার তো সুযোগ নেই। তাই শতভাগ ফিটনেস ধরে রাখাটা সম্ভব না। ঢাকা আবাহনীর কোচ মারিওর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। উনি কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া আমার গুরু মারুফুল হকের কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছি। আমার ফুটবলে যতকিছু দরকার হয় গুরুর কাছ থেকে নেই। উনি সব সময় আমাকে সহায়তা করেন।

যায়যায়দিন: বাইরে যাওয়ার উপায় নেই তাহলে কীভাবে অনুশীলন করছেন?

নাসির : মাঠে তো যাওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের ছাদে অনেক জায়গা আছে। সেখানে রানিং করতে পারি। বল নিয়ে অনুশীলনও করা যায়। তবে এভাবে তো আর শতভাগ ফিটনেস ধরে রাখা সম্ভব না।

যায়যায়দিন: এ বছর আর লিগ না হলে?

নাসির : বিরাট সমস্যা হবে। সব ফুটবলার তো আর উচ্চ শিক্ষিত না। তারা অন্য কিছু করে উপার্জন করবে সে উপায় নেই। একজন ফুটবলারের সঙ্গে তার পরিবারের ৫-৭ জন জড়িত। তাই তাদের পরিবারের ওপর বড় একটা ধাক্কা আসবে। ফেডারেশন ও ক্লাব আমাদের সব ফুটবলারের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানে। তাই আমার মনে হয় তারা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে, যাতে ফুটবলাররাও বাঁচবে, বাংলাদেশের ফুটবলও বাঁচবে।

যায়যায়দিন: ফুটবলের সঙ্গে আর কত বছর থাকার ইচ্ছা আছে?

নাসির : সেটা ফিটনেসের ওপরে। যতদিন আমার ফিটনেস টপ লেভেলে থাকবে ততদিন খেলার ইচ্ছা আছে। অনুশীলনের ব্যাপারে আমি খুবই সচেতন। একটা বিষয় বিশ্বাস করি। কষ্ট কখনো বৃথা যায় না। আমি এই রমজানেও প্রতিদিন একঘণ্টা অনুশীলন করি। সেটা যেভাবেই হোক। মাঝে মাঝে স্ত্রীর সঙ্গেও ঝগড়া হয় শুধু এই ফুটবল নিয়েই অন্য কিছু নিয়ে না। ও বলে সারাবছর ফুটবল নিয়ে থাক। বাসাতে এসেও এই অনুশীলন নিয়ে পড়ে থাকতে হয়?

যায়যায়দিন: আপনাদের ওইখানে লকডাউনের কী অবস্থা?

নাসির : যে অবস্থা দেখছি। মানুষ সচেতন না। সরকার যদি আমাকে বলত যে লকডাউনে তুমি বাইরে যাও। আমি কিন্তু যেতাম না। সেটা আমার নিরাপত্তার জন্য। আমি যদি বাঁচি, আমার পরিবার বাঁচবে। বেঁচে থাকলে জীবনে অনেক কিছু করতে পারব। কিন্তু মানুষজন এই ব্যাপারটা বুঝতেছে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<99566 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1