আজকের যায়যায়দিন

নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশের সাড়া জাগানো একজন ফুটবলার ছিলেন মোনেম মুন্না। করোনা মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যে নিলামে তোলা হয়েছে বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকা মোনেম মুন্নার জার্সি। এটি নিলামে তুলেছিলেন তার স্ত্রী সুরভী মোনেম।

তবে ভক্তদের আবদারে তার আরও একটি জার্সি নিলামে বিক্রি করা হলো। একটি বিক্রি হয়েছে তিন লাখ টাকায়। আরেকটি বিক্রি হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার টাকায়। এই সম্পূর্ণ টাকা করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ব্যয় করা হবে। শনিবার রাতে 'অকশন ফর অ্যাকশন' নামক ফেসবুক পেইজে এই জার্সি নিলামে তোলা হয়।

এদিকে শনিবারই বাংলাদেশের সাবেক ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসানের জার্সিও নিলামে তোলা হয়েছিল। এই জার্সি পরে ২০১৩ সালে কাঠমুন্ডুতে অনুষ্ঠিত সাফ ফুটবলের ফাইনাল পরিচালনা করেছিলেন তৈয়ব। সেবারই প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার কোনো রেফারি সাফ ফুটবলের ফাইনাল পরিচালনা করেন। নিলামে তৈয়বের জার্সি বিক্রি হয়েছে ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকায়। নিলাম থেকে জার্সিটি কিনেছেন সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাছিম ফারুক খান। এর ভিত্তিমূল্য ছিল ২ লাখ টাকা।

মোনেম মুন্নার যে জার্সি নিলামে তোলা হয়েছিল তা পরেই ১৯৮৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপে খেলেছিলেন। ওই আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে পরা মুন্নার জার্সিটির ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছিল ২ লাখ টাকা। শনিবার নিলামকারী প্রতিষ্ঠান অকশন ফর অ্যাকশন কর্তৃক অনুষ্ঠিত নিলাম থেকে সেই বিখ্যাত '২' নম্বর জার্সিটি ৩ লাখ টাকায় কিনে নেয় কার্নিভাল ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান।

মুশফিকের ক্যাচ আউট নিয়ে বিতর্ক, মোহামেডানের হাসি

এছাড়া মোনেম মুন্নার আবাহনী লিমিটেডের একটি জার্সি বিক্রি হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার টাকায়। শুরুতে নিলামে তোলা না হলেও সরাসরি যোগাযোগ করে এটি কিনে নেন এইচএসবিসি ব্যাংকের সিইও মাহবুবুর রহমান।

মোনেম মুন্না ও তৈয়বের জার্সি বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে ব্যয় করা হবে।