ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করলেই মিলবে টেস্টে ফেরার ডাক। কিন্তু বাংলাদেশের সাদা পোশাকের দল থেকে বাদ পড়া মাহমুদউলস্নাহ আবারও করেছেন হতাশ। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হয়েছেন বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের অভিজ্ঞ তারকা। বিপরীত চিত্রের দেখা মিলেছে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের প্রথম ইনিংসটি হাফসেঞ্চুরিতে রাঙিয়েছেন যুব বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
বিশ্বকাপ জিতে আসা যুব টাইগার ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম কদিন আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে করেছেন ঝড়ো সেঞ্চুরি। বিসিএলে আরেকটি ম্যাজিক ফিগারের খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন সোমবার। যদিও ৮২ রানে থেমেছে তার ঝলমলে ব্যাটিং প্রদর্শনী।
সোমবার বিসিএলের ফাইনালের তৃতীয় দিন শেষে চালকের আসনে রয়েছে দক্ষিণাঞ্চল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও ৩৩৮ রানের বড় লিড পেয়ে গেছে তারা। দিনশেষে তাদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১২৫ রান। এর আগে পূর্বাঞ্চলের প্রথম ইনিংস থামে ২৭৩ রানে।
আগের দিনের ৩ উইকেটে ১১০ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল পূর্বাঞ্চল। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে মাহমুদুল হাসানের উইকেট হারিয়ে আরও ১১০ রান যোগ করে তারা। স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে থাকেন আফিফ হোসেন ও তানজিদ। তবে দ্বিতীয় সেশনে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে দলটির ব্যাটিং লাইনআপ। দক্ষিণাঞ্চলের অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাকের ঘূর্ণি জাদুতে ৬৩ রান যোগ করতে বাকি ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।
আফিফ ৯৮ বলে ৪৭ রানে রাজ্জাকের শিকার হন। পরে তানজিদকেও ফেরান এই বাঁহাতি স্পিনার। সাধারণত ওপেনিংয়ে নামলেও এদিন ছয়ে নেমে দু্যতি ছড়ান তানজিদ। এই বাঁহাতি স্বভাবসুলভ ব্যাটিংয়ে খেলেন ৮৭ বলে ৮২ রানের আগ্রাসী ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ২ ছয়। ১০২ রানে ৭ উইকেট নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলকে ২১৩ রানের বিশাল লিড পাইয়ে দেন আব্দুর রাজ্জাক।
ফলোঅন করানোর সুযোগ থাকলেও পূর্বাঞ্চলকে আবার ব্যাটিংয়ে না পাঠিয়ে নিজেরা নামে দক্ষিণাঞ্চল। তবে প্রতিপক্ষ পেসারদের দাপটে অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে তারা। মেহেদী হাসান ৬৮ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থেকে একাই লড়াই করছেন। আবু হায়দার রনি ৫১ রানে নেন ৪ উইকেট। হাসান মাহমুদ ও রুয়েল মিয়া শিকার করেন ২টি করে উইকেট।
মাহমুদউলস্নাহ ব্যাটিং অর্ডার পাল্টে তিনে নেমে হাত খুলে খেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে আবু হায়দার তাকে এগোতে দেননি। ১১ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ১৭ রান করে বিদায় নেন মাহমুদউলস্নাহ। আগের ইনিংসে পাঁচে নেমে ৪ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফিরেছিলেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (তৃতীয় দিন শেষে)
দক্ষিণাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ৪৮৬
পূর্বাঞ্চল প্রথম ইনিংস: (আগেরদিন ১১০/৩) ৮৬.৩ ওভারে ২৭৩
(মাহমুদুল ৩৩, আফিফ ৪৭, তানজিদ ৮২, জাকির ১০, আবু হায়দার ২, সাকলাইন ০, রুয়েল ৫, হাসান ৪*; শফিউল ২/৭২, আল-আমিন ০/৩৮, রাজ্জাক ৭/১০২, মেহেদী ১/৬০)।
দক্ষিণাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংস: ৩০.১ ওভারে (ফজলে মাহমুদ ১, এনামুল ১০, মাহমুদউলস্নাহ ১৭, শামসুর ১৬, নুরুল ৮, আল-আমিন ৮, ফরহাদ ৩,
মেহেদী ৪১*, শফিউল ৫, রাজ্জাক ১*; হাসান ২/২২, আবু হায়দার ৪/৫১,
রুয়েল ২/২২, আশরাফুল ০/৬, সাকলাইন ০/০)।