বড় মাদ্রিদ আর ছোট মাদ্রিদের লড়াই। তবে মাঠের লড়াইয়ে ‘ছোট মাদ্রিদ’ খ্যাত অ্যাটলেটিকোই দেখাল আধিপত্য। বুধবার ‘বড় মাদ্রিদ’ রিয়ালকে ৪-২ ব্যবধানে উড়িয়ে উয়েফা সুপার কাপের শিরোপা নিল তারা।
এস্তোনিয়ার তালিনে মাদ্রিদ ডাবির্র শুরুটাই হয়েছে চমক দিয়ে। মাত্র ৪৯ সেকেন্ডের মাথায় গোল করেছেন ডিয়েগো কস্তা। উয়েফা সুপার কাপের ইতিহাসে যা দ্রæততম গোলের রেকডর্! কস্তার আগে আগের রেকডর্টা ছিল আজের্ন্টাইন মিডফিল্ডার এভার বানেগার দখলে। ২০১৫ সালে বাসেের্লানার বিপক্ষে ম্যাচের তিন মিনিটের মাথায় গোল করেছিলেন সেভিয়ার এই তারকা।
অ্যাটলেটিকোকে জবাব দিতে অবশ্য খুব একটা সময় নেয়নি রিয়াল। টানা আক্রমণ করতে থাকা দলটি ২৭তম মিনিটে সমতায় ফেরে। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা গ্যারেথ বেলের দারুণ ক্রসে হেডে বল জালে পাঠান ফরাসি ফরোয়াডর্ বেনজেমা।
৬৩তম মিনিটে অধিনায়ক সাজির্ও রামোসের পেনাল্টিতে এগিয়ে যায় রিয়াল। কনার্র থেকে উড়ে আসা বল স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হুয়ানফ্রানের হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। রিয়ালের এভাবে এগিয়ে যাওয়াটা বোধহয় সহ্য হয়নি কস্তার! তাই তো ৭৯ মিনিটে অ্যাটলেটিকোকে সমতা এনে দেন এই স্প্যানিশ ফরোয়াডর্। ম্যাচটা আবারও জমে ওঠে। নিধাির্রত সময়ে আর জয়সূচক গোলটি করতে পারেনি কোনো দল। ফলে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট লড়তে হয়েছে তাদের। অতিরিক্ত সময়ের লড়াইয়ে অ্যাটলেটিকোর কাছে পাত্তাই পায়নি রিয়াল।
৯৮তম মিনিটে বঁাদিকের বাইলাইন থেকে ঘানার মিডফিল্ডার টমাসের ক্রসে দারুণ এক ভলিতে গোল করেন সাউল নিগেস। তাতে জয়ের রাস্তা তৈরি হয়ে যায় ছোট মাদ্রিদের। এরপর ১০৪তম মিনিটে কোকের গোলে শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলে ডিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা।
অ্যাটলেটিকোই প্রথম ক্লাব, যারা কিনা তিনবার উয়েফা সুপার কাপে খেলার সুযোগ পেয়ে প্রতিবারই ট্রফি জিতেছে। এর আগে ২০১০ আর ২০১২ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দলটি। আর বতর্মান কোচ সিমিওনের অধীনে সুপার কাপে এটি তাদের দ্বিতীয় সাফল্য। সব মিলিয়ে এই আজের্ন্টাইনের অধীনে সাতটি শিরোপা জিতল অ্যাটলেটিকো। তাতে ক্লাবের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল কোচের খেতাবটা নিজের করে নিলেন সিমিওনে। তার আগে লুইস অ্যারাগনের অধীনে ছয়টি ট্রফি জিতেছিল রোজি-বøাঙ্কোসরা।