আজকের যায়যায়দিন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

স্বর্ণ জয়, সেতো সাধারণ কোনো অর্জন নয়! যে কোনো গেমসেই দারুণ এক অর্জন। ব্যক্তি থেকে শুরু করে দল, সবার কাছেই যা যক্ষের ধনের মতোই। যাকে লক্ষ্য করে বছরের পর বছর চলে চোয়ালবদ্ধ প্রস্তুতি। যে অর্জনের দিকে সবাই চোখ রাখে। তবে সবার কাছে তো আর তা ধরা দেয় না। কিন্তু যার বা যাদের কাছে তা ধরা দেয় তারা সত্যিই ভাগ্যদেবীর আশীর্বাদপুষ্ট। এবং এই অর্জনের অধিকারীদের আনন্দের বাঁধ ভাঙারই কথা। বাংলাদেশ দলের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। এসএ গেমসে স্বর্ণ জয়ের সোনালি সাফল্যে সবার ভেতরেই আনন্দের হিলেস্নাল খেলে যাচ্ছে।

গত ৯ ডিসেম্বর নেপালের কীর্তিপুরে ফাইনালে শ্রীলংকাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে এসএ গেমসে টানা দ্বিতীয় স্বর্ণ জয়ের গৌরবে উদ্ভাসিত হয় লাল সবুজের দল। যা গৌরবান্বিত করেছে ১৬ কোটির ছোট ব-দ্বীপকেও। দেশকে স্বর্ণ জয়ের গৌরব এনে দিয়ে দারুণ খুশি লাল সবুজের পতাকবাহীরা। এসএ গেমস মিশন থেকে দেশে ফিরে বুধবার মিরপুর একাডেমি মাঠে সে কথাই জানালেন স্বর্ণজয়ী দলের ব্যাটিং অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ধ্রম্নব।

তিনি বলেন, 'আমাদের সবার জন্যই বড় অর্জন। শুরু থেকেই আমাদের ভাবনা ছিল, এটি অর্জন করতে পারলে আমরা অনেক খুশি হতে পারব। আমরা সবাই খুবই খুশি। দেশের জন্য ভালো, এমন কিছু করার সুযোগ সবার জন্য আসে না। আমাদের জীবনে এই সময়টা এসেছে, আমরা অনেক ভাগ্যবান যে এমন একটি টুর্নামেন্ট খেলতে পেরেছি ও সাফল্য নিয়ে ফিরতে পেরেছি।'

প্রস্তুতি ক্যাম্পে হাতে-কলমে শান্তদের শেখানো হবে ম্যাচের সবকিছু

কিন্তু কাজটি মোটেও সহজ ছিল না। একদিকে নেপালের গা হিম করা ঠান্ডা, অন্যদিকে ভিন্ন উইকেট। যা বাংলাদেশের স্বর্ণ জয়ের পথ দুর্গম দেখাচ্ছিল। কিন্তু শান্ত, আফিফদের চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞার সামনে সেই দুর্গম পথই হয়েছিল মসৃণ।

তাইতো পেছনের সেই গল্পটি শোনাতে গিয়ে আফিফ বলেন, 'দেখতে যতটা সহজ মনে হয়েছে, কাজটা অতটা সহজ ছিল না। শুরুতে আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়েছে আমাদের। ঠান্ডা ছিল বেশ। উইকেট অনেকটাই আলাদা ছিল, কঠিন ছিল। রান করাটা কঠিন ছিল। সব মিলিয়ে পরে আমরা ভালো মানিয়ে নিতে পেরেছি। আমরা এ রকম টুর্নামেন্ট আগে কখনো খেলিনি। অনেক রোমাঞ্চিত ছিলাম সবাই। শুরু থেকেই সবাই চেষ্টা করেছি চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরতে।'