শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন রাজ্জাকের খুলনা

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ২০ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

শিরোপার আভাস পাওয়া গেছে আগের দিনই। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রকিবুল হাসান। ঢাকা বিভাগের সেই বাধা ভেঙে জাতীয় লিগের শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে খুলনা বিভাগ। প্রথম স্তরের শেষ রাউন্ডে মঙ্গলবার ঢাকাকে ৯ উইকেটে হারিয়ে অপরাজিত থেকে জাতীয় ক্রিকেট লিগের শিরোপা জিতেছে আব্দুর রাজ্জাকের খুলনা।

খুলনার এটি সপ্তম শিরোপা। ২০১৫-১৬ মৌসুম থেকে টানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দলটি। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা সংখ্যায় খুলনার পাশে বসেছিল রাজশাহী। এক মৌসুম পরেই শিরোপা জয়ের রেকর্ড আবারও নিজেদের করে নিল খুলনা। এবার রাজশাহীর হয়েছে উলটো অভিজ্ঞতা। শেষ রাউন্ডের ম্যাচে রংপুরের কাছে হেরে প্রথম স্তর থেকে দ্বিতীয় স্তরে নেমে গেছে তারা। মঙ্গলবার শেষ দিনের দ্বিতীয় সেশনে ১১৭ রানের লক্ষ্যে নেমে এনামুল হক বিজয়ের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সহজেই জয় মুঠোবন্দি করে খুলনা।

শেষ ম্যাচে না খেললেও শিরোপা জয়ের পথে আগের ম্যাচগুলোতে বড় ভূমিকা ছিল খুলনার নিয়মিত অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাকের। তার অনুপস্থিতিতে দলের নেতৃত্ব পাওয়া নুরুল হাসান সোহান এই ম্যাচে খেলেছেন হার না মানা দেড়শ রানের ইনিংস। জয়ের জন্য শেষ দিনে ঢাকার ৫ উইকেট দ্রম্নত তুলে নিতে হতো খুলনাকে। কিন্তু আরাফাত সানি জুনিয়রকে নিয়ে তাদের সামনে দেয়াল তৈরি করেন রকিবুল। কাটিয়ে দেন প্রথম সেশনের পুরোটা। জুটি ভাঙে লাঞ্চেরও প্রায় ঘণ্টাখানেক পর। ৯৯ রানে দাঁড়িয়ে রান আউট হন রকিবুল। এরপর দ্রম্নত গুটিয়ে যায় ঢাকা। শেষ ৪ উইকেট হারায় ৫ রানে। দ্বিতীয় দিন সতীর্থ আরাফাত সানির গায়ে হাত তোলার দায়ে নিষিদ্ধ হওয়ায় ব্যাট করতে পারেননি শাহাদাত হোসেন।

৩২১ মিনিট আর ২২৭ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন রকিবুল। ১৪৮ বলে ৫টি চারে আরাফাত সানি জুনিয়র করেন ৫৩ রান। পঞ্চম উইকেটে দুজনে গড়েন ১২৫ রানের জুটি। আগের দিন দ্রম্নত তিন উইকেট নেওয়া জিয়াউর এদিন নেন দুটি। শেষ ব্যাটসম্যান নাজমুল ইসলামকে তুলে নিয়ে পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ৫ উইকেটের কোটা। পেস অলরাউন্ডার ৫ উইকেট পেলেন ১১ বছর পর। সবশেষ ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে টানা দুই ম্যাচে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট।

রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই রবিউল ইসলাম রবিকে হারায় খুলনা। তবে অমিত মজুমদার ও এনামুলের ব্যাটে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছায় তারা। আর শেষ দিকে ঝড় তোলা এনামুল ৭৬ বলে চারটি করে ছক্কা ও চারে ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন। অমিত অপরাজিত ছিলেন ৩৩ রানে।

প্রথম দিনের শেষ বিকেলে দুজনই মাঠ ছেড়েছিলেন চোট নিয়ে। ৫ ম্যাচে ১৯.৬৭ গড়ে ৩১ উইকেট নিয়ে এবারের আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার রাজ্জাক। ছয় ম্যাচে তিনটি করে জয় ও ড্রয়ে খুলনার পয়েন্ট ৩৯.৮১। চার ড্র ও এক জয়ে ২৪.৩৯ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ ঢাকা। এক জয় ও দুই ড্রয়ে ২১.৪৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থেকে লিগ শেষ করেছে রংপুর। এক জয় ও দুই ড্রয়ে ১৮.৬৫ পয়েন্ট পাওয়া রাজশাহী নেমে গেছে দ্বিতীয় স্তরে। আর দ্বিতীয় স্তরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথম স্তরে উঠে এসেছে সিলেট বিভাগ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ঢাকা প্রথম ইনিংস: ২৭৯

খুলনা প্রথম ইনিংস: ১২৮ ওভারে ৩৭৯

ঢাকা দ্বিতীয় ইনিংস: ৮৬.৩ ওভারে ২১৬ (রকিবুল ৯৯, শুভাগত ৪২, আরাফাত সানি জুনিয়র ৫৩, উত্তম ৪, মজিদ ৫, জিয়াউর ৫/৪৪, মইনুল ১/৪০, নাহিদুল ২/৭৪)

খুলনা দ্বিতীয় ইনিংস: (লক্ষ্য ১১৭) ২৫.৪ ওভারে ১১৭/১ (রবি ২, এনামুল ৭৯*, অমিত ৩৩*; নাজমুল ১/৪৯, শুভাগত ০/২১, শহীদ ০/১৯, উত্তম ০/১৬, মজিদ ০/১০)

ফল: খুলনা ৯ উইকেটে জয়ী

ম্যাচসেরা: নুরুল হাসান সোহান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<76286 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1