আজকের যায়যায়দিন

ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি২০তে ৮১ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে স্টার অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন বাংলাদেশ ওপেনার নাঈম শেখ। দল জিতলে ৪৮ বলে ১০টি চার ও ২ ছক্কায় সাজানো নান্দনিক ইনিংসটা বাঁধিয়ে রাখতে পারতেন কুড়ি বছরের এ তরুণ। হাতে উঠতে পারত ম্যাচ সেরার পুরস্কারও। কিন্তু বাংলাদেশ হেরে যাওয়ায় এ পুরস্কারটি এখন কেবলই সান্ত্বনার!

ম্যাচসেরা ও সিরিজ সেরা হয়েছেন দীপক চাহার। রোববার ৭ রানে ৬ উইকেট শিকার করে টি২০'র ইতিহাসের সেরা বোলিং ফিগার এখন ভারতীয় এ পেসারের। ৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ৭ বছর সেরার রেকর্ডটি ধরে রেখেছিলেন শ্রীলংকান স্পিনার অজন্তা মেন্ডিস।

নাগপুরে রঙিন পোশাকে সিরিজের শেষ লড়াইয়ে বাংলাদেশকে ১৭৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল ভারত। ব্যাটিংয়ে নেমে নাঈমের ওপেনিং পার্টনার লিটন দাস সাজঘরে ফেরেন ৯ রান করে। সৌম্য সরকার ফিরে যান প্রথম বলেই। ১২ রানে দুই উইকেট হারানোর পরও বাংলাদেশকে ম্যাচে রেখেছিলেন এই সিরিজেই অভিষিক্ত নাঈম।

মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯৮ রান যোগ করে নাঈম আশা দেখাচ্ছিলেন প্রথমবার ভারতের বিপক্ষে টি২০ সিরিজ জয়েরও। মিঠুনের বিদায়ে জুটি ভাঙে। মুশফিক-আফিফ-মাহমুদউলস্নাহ হন ব্যর্থ। অপূর্ণতা রেখে ৮১ করে ফিরে যান নাঈমও। শেষে চাহার-ঝড়ে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৪৪ রানে। ১৫ ওভার পর্যন্ত সম্ভাবনা ধরে রাখা দলটি শেষঅবধি কি না হারল ৩০ রানের ব্যবধানে।

প্রতিশোধের ম্যাচেও আবাহনীর কাছে হারল শেখ জামাল

অভিষেকেই আলো ছড়ানো নাঈম শেখ আইসিসির সবশেষ টি২০র্ যাংকিংয়ে পুরস্কারটা পেলেন হাতেনাতেই। এক লাফে ৩৮তম অবস্থানে উঠে এসেছেন বাংলাদেশের ২০ বছর বয়সি বাঁহাতি ওপেনার।

সমান ৪৯৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ইংল্যান্ড তারকা জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে যৌথভাবের্ যাংকিংয়ে এই অবস্থানে আছেন ভারত সিরিজেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিষিক্ত নাঈম। ভারতে তিন ম্যাচে তিনি যথাক্রমে ২৬, ৩৬ ও ৮১ রান উপহার দিয়েছেন।

টি২০র্ যাংকিংয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ত্রিশের কোটায় আছেন কেবল একজন। টাইগারদের সবার উপরে আছেন মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদ। অবনমন হয়েছে তার, এখন আছেন ২৯ নম্বরে। ভারতে অপরাজিত ১৫, ৩০ আর ৮ রান এসেছে অধিনায়কের ব্যাটে।

ওপেনার লিটন দাস আছেনর্ যাংকিংয়ের ৪১ নম্বরে, অবনমন হয়েছে তারও। সবশেষ সিরিজে তিন ম্যাচে তার ব্যাটে এসেছে মোটে ৪৫ রান। ৫১তে আছেন সৌম্য সরকার, ৬৯ রান দিয়েছেন তিনি সবশেষ সিরিজে।

র্

যাংকিংয়ের ৫২তে মুশফিকুর রহিম আর ভারত সিরিজে দলের বাইরে থাকা সাব্বির রহমান আছেন ৫৩তম হয়ে। মুশফিক দিলিস্নতে ম্যাচজয়ী অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংস খেললেও শেষ দুই ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন।

সেরা একশোতে বাংলাদেশের অন্যদের মধ্যে আছেন কেবল তামিম ইকবাল, ৬৪তে, তিনি টানা দুই সিরিজ স্বেচ্ছা বিরতিতে। বোলারদেরর্ যাংকিংয়ে ত্রিশে নেই বাংলাদেশের কেউ। ৩২ নম্বরে আছেন মুস্তাফিজুর রহমান, টেবিলে অবনমন হয়েছে বাঁহাতি পেসারের, ভারতে তিন ম্যাচে উইকেটের দেখা পাননি।

অবনমন হয়ে ৮১তে মাহমুদউলস্নাহ, আর চার বছর পর ফিরে ভালো করা পেসার আল-আমিন হোসেন তার সঙ্গে একই অবস্থানের্ যাংকিংয়ে উন্নতি করে। সেরা একশোতে নেই টাইগারদের আর কোনো বোলার।

অলরাউন্ডারদের মধ্যে ২২৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ের্ যাংকিংয়ের চার নম্বরে আছেন মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদ। ভারতে শেষ ম্যাচে ২ উইকেট নেয়া সৌম্য অলরাউন্ডিংয়ে উন্নতি করে উঠে এসেছেন ৩০ নম্বরে, এ অবস্থানে যৌথভাবে আছেন পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিমের সঙ্গে।

দুই বছর নিষিদ্ধ সাকিব আল হাসানকে টি২০'র ব্যাটিং-বোলিং-অলরাউন্ডার কোনো বিভাগেরর্ যাংকিং-রেটিংয়েই রাখেনি আইসিসি!