স্টিভেন স্মিথের দারুণ কীর্তির পর ম্যাথু ওয়েডের সেঞ্চুরিতে এজবাস্টন টেস্টের চতুর্থ দিনটি নিজেদের করে নিয়েছিল টিম পেইনের অস্ট্রেলিয়া। আর তাই বার্মিংহাম টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৩৯৮ রানের জয়ের টার্গেট দিতে পেরেছিল সফরকারীরা। চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে খেলতে নেমে স্বাগতিকরা ৭ ওভার খেলে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৩ রানে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু পঞ্চম দিনে অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের তোপে হার এড়াতে লড়ছে ইংলিশরা। শেষ দিনের লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে ৮৪ রান তুলতেই স্বাগতিকরা চার-চারটি উইকেট হারিয়ে ফেলেছে। এখনো এজবাস্টন টেস্টের দুটি সেশনে ৬৫ ওভারের খেলা বাকি আছে।
আগের দিনের দ্বিতীয় ইনিংসে ইংলিশরা ৭ ওভারে তুলেছে বিনা উইকেটে ১৩ রান। যদিও চর্তুথ দিনের শেষ বিকালটা তারা নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিলেও পঞ্চম দিনের শুরুতে ভীষণ বিপদের মুখে পড়ে যান দুই ইংলিশ ওপেনার। চতুর্থ ররি বার্নস ৭ ও জেসন রয় ৬ রানে নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে রোরি বার্নস ১১ রানে সাজঘরে ফিরে যান। পরে দলনায়ক জো রুটকে সঙ্গে নিয়ে দলকে বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেননি ইংলিশ অপর ওপেনার জেসন রয় (২৮)। বার্নকে ফেরান প্যাট কামিন্স আর রয়কে বোল্ড করে বোকা বানান নাথান লায়ন। এরপর ইর্ংযান্ট অধিনায়ক রুটকেও (২৮) ফেরান লায়ন। তবে এবার লায়ন বোল্ড না করে ব্যানক্রফটের হাতে ধরা পড়েন ইংলিশ দলনেতা।
পরে জো ডেনলিকে (১১) আউট করেন লায়ন। এরপর জস বাটলার (১*) এবং বেন স্টোকস (০*) রান নিয়ে পঞ্চম দিনের মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতে গেছেন। ইংল্যান্ডকে এজবাস্টন টেস্ট বাঁচাতে হলে এখনো দুটি সেশনে মোট ৬৫ ওভার ব্যাটিং করতে হবে। তবে তাদের হাতে আছে ৬টি উইকেট। কিন্তু বার্মিংহামের পিচে যেভাবে বল টার্ন করাতে পারছেন নাথান লায়ন তাতে স্বাগতিকদের দুটি সেশনে ব্যাটিং করাটাই এখন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ইংল্যান্ড যে ৪টি উইকেট হারিয়েছে তার ৩টিই তুলে নিয়েছে লায়ন।
এর আগে ৩ উইকেটে ১২৪ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে সফরকারীরা। স্মিথের সঙ্গে ১৩০ রানের জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন হেড। হাফসেঞ্চুরি করার কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন তিনি। ৫১ রানে হেডকে ফেরান বেন স্টোকস। ৯৮ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় সেশন খেলতে নেমে ১৪৭ বলে ২৫তম সেঞ্চুরি করেন স্মিথ। পঞ্চম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে অ্যাশেজের এক ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরির কীর্তি গড়া স্মিথ লড়াই চালিয়ে যান ওয়েডকে নিয়ে। ১২৬ রানের জুটি গড়েন তারা দুজন। ২০৭ বলে ১৪ চারে ১৪২ রান করে ক্রিস ওকসের শিকার হন স্মিথ। অধিনায়ক টিম পেইনের সঙ্গে ৭৬ রানের জুটি গড়ার পথে সেঞ্চুরি করেন ওয়েড। ১৩১ বলে ১৫ চারে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান তিনি।
\হস্টোকসের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে ওয়েড ১৪৩ বলে করেন ১১০ রান।
পেইন ৩৪ রানে আউট হওয়ার পর জেমস প্যাটিনসনের সঙ্গে প্যাট কামিন্সের শক্ত জুটিতে লিড বড় করতে থাকে অজিরা। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটি ছিল ৭৮ রানের। প্যাটিনসন ৪৭ ও কামিন্স ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। স্টোকস ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। দুটি পান মঈন আলী।