চোটের কারণে ব্রাজিল দলের বাইরে ছিলেন নেইমার। তবে কোপা আমেরিকা দিয়ে আবার জাতীয় দলে ফিরলেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) ফরোয়ার্ড। ব্রাজিল কোচ তিতর ঘোষিত ২৩ জনের চূড়ান্ত দলে অবশ্য জায়গা হয়নি মার্সেলোর। সুযোগ হয়নি তার রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ ভিনিসিয়াস জুনিয়রেরও।
২০০৭ সালের পর কোপা আমেরিকা জেতা হয়নি ব্রাজিলের। ঘরের মাঠের এবারের আসর দিয়ে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা খরা কাটানোর লক্ষ্য তাদের। সেই লক্ষে সবার আগে চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছেন তিতে। যে দলে সুযোগ হয়নি ফর্মে থাকা অনেক খেলোয়াড়েরই। যাদের মধ্যে অন্যতম লুকাস মউরা। এই উইঙ্গারের জাদুকরী পারফরম্যান্সে রুপকথার জন্ম দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে টটেনহাম। আয়াক্সের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হারের পর ফিরতি লেগে যখন ২-০ গোলে পিছিয়ে টটেনহাম, তখন বেশিরভাগ মানুষ ধরে নিয়েছিল ফাইনালে যাচ্ছে ডাচ ক্লাবটি। কিন্তু মোউরার হ্যাটট্রিকে দুর্দান্ত জয়ে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠে যায় ইংলিশ ক্লাবটি। এরপরও ব্রাজিলের কোপা আমেরিকা দলে জায়গা হয়নি তার।
মউরার মতো কপাল পুড়েছে মিডফিল্ডার ফাবিয়ানোরও। লিভারপুলের এই খেলোয়াড়ের একটুর জন্য ছোঁয়া হয়নি প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে মৌসুম শেষ করার সুযোগ এখনও আছে তাদের। ফাইনালে টটেনহামের প্রতিপক্ষ তার ক্লাব লিভারপুল। রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে একেবারেই ভালো সময় কাটেনি মার্সেলোর। মাদ্রিদের অনেক ম্যাচেই তাকে থাকতে হয়েছে বেঞ্চে। চলতি মৌসুমের শুরু থেকে জাতীয় দলে জায়গা হারানো এই লেফটব্যাককে কোপা আমেরিকার দলেও রাখেননি তিতে। অথচ কিছুদিন আগেও তাকে ছাড়া চিন্তা করা যেত না ব্রাজিল দলের স্কোয়াড।
মার্সেলোর ক্লাব সতীর্থ ভিনিসিয়াস জুনিয়রের না থাকাটা বিস্ময়করই। এখনও পর্যন্ত জাতীয় দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ডের খেলা না হলেও কোপা আমেরিকায় তিনি থাকবেন বলেই শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু তিতে আস্থা রেখেছেন মাত্র এক ম্যাচ খেলা আয়াক্স ফরোয়ার্ড দাভিদ নেরেস ও তার পরীক্ষিত আক্রমণভাগের ওপর। যেখানে নেইমারের সঙ্গে আছেন রিচার্লিসন, এভারটন, রবের্তো ফিরমিনো, গ্যাব্রিয়েল জেসুস।
মার্চে পানামা ও চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলেছে ব্রাজিল। পোর্তো ও প্রাগে হওয়া ম্যাচ দুটিতে চোটের কারণে খেলা হয়নি নেইমারের। তবে সুস্থ হয়ে মাঠে ফেরা সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড প্রত্যাশামতোই আছেন কোপা আমেরিকায়। কোপা আমেরিকার মিশন শুরু করবে ব্রাজিল ১৪ জুন। সাও পাওলোয় গ্রম্নপ পর্বের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের প্রতিপক্ষ বলিভিয়া।