আজকের যায়যায়দিন

খুব বড় কোনো ইনিংস খেলতে পারেননি কেউ, তবে তুষার ইমরান-এনামুল হক বিজয়-ফজলে মাহমুদ আর রকিবুল হাসানের চওড়া ব্যাট ঠিকই বড় পুঁজি গড়ার পথ দেখিয়েছে প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলকে। ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের ২৬৫ রানের জবাব দিতে নেমে চার হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ৩০৯ রান সংগ্রহ করেছে দলটি। দ্বিতীয় দিন শেষে ৪৪ রানের লিড নিয়েছে তারা। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) সপ্তম আসরের চতুথর্ রাউন্ডের আরেক ম্যাচে ৪৬৬ রানের বড় পুঁজি গড়েছে ইসলামী ব্যাংক পূবার্ঞ্চল। তবে ব্যাট হাতে জবাবটা ভালোই দিচ্ছে বিসিবি উত্তরাঞ্চল, ১৭৮ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করার আগে মাত্র দুটো উইকেট হারিয়েছে তারা।

দুই সেঞ্চুরিয়ান রনি তালুকদার আর মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাটে প্রথম দিনটা একান্তই নিজেদের করে নিয়েছিল পূবার্ঞ্চল। ৩ উইকেট হারিয়ে তারা তুলেছিল ৩৫৪ রান। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে এদিন বাকি ৭ উইকেট হারিয়ে ১১২ রানের বেশি তুলতে পারেনি দলটি। আসলে তুলতে দেননি উত্তরাঞ্চলের বাহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম। ১১৫ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। দুটো করে উইকেট নিয়েছেন সোহাগ গাজী আর এবাদত হোসেন।

ডানহাতি পেসার এবাদতই এদিন পূবার্ঞ্চলের ব্যাটিং লাইনআপে প্রথম আঘাত হানেন, গুড়িয়ে দেন রনি তালুকদারের ডাবলসেঞ্চুরির স্বপ্ন। ১৮৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা এই ব্যাটসম্যান থামেন দুই রান যোগ করেই (১৮৫)। তাতে ভাঙে আশরাফুলের সঙ্গে তার ২৪৪ রানের জুটিটাও। ১০৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা আশরাফুল থামেন ১৩৬ রানে, তাকে থামান সানজামুল। শেষদিকে ৩৪ বলে ৩৭ রানের ঝড়োইনিংস উপহার দেন তাইজুল ইসলাম। তাতেই সাড়ে চার’শ রানের গÐি টপকায় পূবার্ঞ্চল।

দিনের শুরুতে উত্তরাঞ্চলের বোলাররা দাপট দেখালেও পূবার্ঞ্চলের বোলাররা তা পারেননি। বড় রানের বোঝা মাথায় নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা উত্তরাঞ্চলের দুই ওপেনার জহুরুল ইসলাম আর জুনায়েদ সিদ্দিক গড়েন ৯৮ রানের জুটি। ৫১ রান করা জুনায়েদকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আবু জায়েদ। এরপর জহুরুলকে ফেরান এনামুল জুনিয়র। আউট হওয়ার আগে ১২টি চারের মারে ১২৪ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন এই ডানহাতি। এরপর ফরহাদ হোসেন ৩৪ আর নাঈম ইসলাম ১৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ১৭৮ পযর্ন্ত নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছেন। ২৮৮ রানে পিছিয়ে থাকা দলকে সামনে টেনে নিতে আজ তৃতীয় দিনে ব্যাটিং শুরু করবেন তারা।

মুশফিকের ক্যাচ আউট নিয়ে বিতর্ক, মোহামেডানের হাসি

অপর ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শেষ দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে ২৭ রান যোগ করে ২৬১ রানে অলআউট হয়ে যায় মধ্যাঞ্চল। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে দিনভর মধ্যাঞ্চলের বোলারদের ভুগিয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাটসম্যানরা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে শাহরিয়ার নাফীসকে হারালেও আরেক ওপেনার এনামুল বিজয় আর ফজলে মাহমুদ ১৪৬ রানের জুটি গড়েন। ওয়ানডে স্টাইলে খেলে ৯৯ বলে ৫টি চার আর ৩টি ছক্কায় ৭৪ রান করেন মাহমুদ। সঙ্গীকে হারিয়ে বিজয়ও ধৈযর্্য রাখতে পারেননি, ১০টি চারে ১১৮ বলে ৭৭ রান করে আরাফাত সানিকে উইকেট উপহার দিয়েছেন তিনি।

এনামুল ফেরার পর দ্রæত বিদায় নেন আল আমিন। এরপর রকিবুল হাসানকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ১৩১ রানের জুটি গড়েন তুষার ইমরান। দলের পক্ষে সবোর্চ্চ ৭৮ রান করে দিনের শেষ বলে আউট হয়েছেন তুষার, ৫৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন রকিবুল। ১০৪ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন সানি, দুটো উইকেট পেয়েছেন ইয়াসির আরাফাত।