শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আশা বাঁচিয়ে রাখল মুক্তিযোদ্ধা

৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রæপের শীষের্ ঢাকা আবাহনী। দুই ম্যাচ শেষে মাত্র ১ পয়েন্ট মুক্তিযোদ্ধার। ব্রাদাসের্রও সমান ১ পয়েন্ট। গ্রæপের শেষ ম্যাচে ঢাকা আবাহনীর মুখোমুখি হবে ব্রাদাসর্ ইউনিয়ন। ওই ম্যাচের জয়-হার এবং গোল গড়ের ওপর নিভর্র করছে ১ পয়েন্ট নিয়ে আদৌ শেষ আটে খেলা হবে কিনা মুক্তিযোদ্ধার
ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:২৭

হারলেই বিদায়, বুধবার ব্রাদাসর্ ইউনিয়নের বিপক্ষে ‘সি’ গ্রæপের ম্যাচটি তাই মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের জন্য ছিল বঁাচা-মরার। সেই লড়াইয়ে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ১-১ গোলে ড্র করেছে তারা। ওই ড্রয়েই স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুনাের্মন্টে শেষ আটে খেলার আশা বঁাচিয়ে রেখেছে দলটি। অন্যদিকে, তাদের এই ড্র গ্রæপের অপর দল ঢাকা আবাহনীকে পাইয়ে দিয়েছে কোয়াটার্র ফাইনালের টিকিট। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর অষ্টম মিনিটের মাথাতেই ম্যাচে লিড নেয় গোপীবাগের দল ব্রাদাসর্ ইউনিয়ন। ডি-বক্সের বাইরে থেকে পানামার ফরোয়াডর্ জ্যাক ড্যানিয়েলের থ্রু পাস ধরে বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়েন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়াডর্ ভিয়েইরা লিমা লিওনাদোর্। তাকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন মুক্তিযোদ্ধার গিনির ডিফেন্ডার ইউনুসা কামারা। এদিকে বিপদ বুঝে সামনে এগিয়ে আসেন গোলরক্ষক মোহাম্মদ রাজিব। কিন্তু কামারা-রাজিবের চেষ্টা বিফলে যায়। ডান পায়ের গড়ানো প্লেসি শটে ততক্ষণে বল জালে পাঠিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন লিমা (১-০)। আচমকা পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে মুক্তিযোদ্ধা। একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে দলটি। ২৩ মিনিটে সমতায়ও ফেরে তারা। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে মুক্তির জাপানি ফরোয়াডর্ ইউসুকে কাতো ছোট পাসে বল বাড়িয়ে দেন সতীথর্ ফরোয়াডর্ মেহেদী হাসান রয়েলকে। রয়েল সেই বল ওয়ান টাচে দেন আগুয়ান সতীথর্ মিডফিল্ডার সুজন বিশ^াসকে। দ্রæতগতিতে বল নিয়ে সুজন ডি-বক্সের লাইন থেকে ডান পায়ে উঁচু শট নেন। বল ব্রাদাসের্র ডিফেন্ডার আশরাফুল করিমের মাথায় লেগে গতিপথ বদলে আশ্রয় নেয় জালে (১-১)। প্রথমাধর্ সমতায় শেষের পর দ্বিতীয়াধের্ উভয় দলই বেশকিছু গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে। ৭২ মিনিটে একটা সুযোগ পেয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নিয়ে বক্সে ঢুকে দারুণ শট নিয়েছিলেন ইউসুকে কাতু। প্রথম দফায় বল ছুটে গেলেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় গ্রীপ করতে সমথর্ হন ব্রাদাসর্ গোলরক্ষক সুজন চৌধুরী। ৭৯ মিনিটে বক্সের প্রায় ত্রিশগজ দূরে ফ্রি কিক পায় ব্রাদাসর্ ইউনিয়ন। খান মোহাম্মদ তারার স্পট কিক বক্সে পড়লেও তার সতীথর্রা বুঝে নেবার আগেই বল ক্লিয়ার করেছেন মুক্তির ডিফেন্ডাররা। ৮১ মিনিটে দারুণ একটা হেড নিয়েছিলেন খান মোহাম্মদ তারা। কিন্তু প্রস্তুত ছিলেন গোলরক্ষক রাজীব। বল সরাসরি নিয়েছেন নিজের গ্রিপে। এভাবে একের পর এক সুযোগ নষ্ট করে কোনো দলই আর গোল আদায় করতে পারেনি। তাই সমতাতেই শেষ হয়েছে ম্যাচ। তাতে মুক্তিযোদ্ধা আর ব্রাদাসর্, দুই দলেরই সম্ভাবনা টিকে থাকল। অন্যদিকে তাদের ওই ড্র শেষ আট নিশ্চিত করে দিয়েছে ঢাকা আবাহনীর। প্রথম ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধাকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল ঐতিহ্যবাহী দলটি। তাতে ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রæপের শীষের্ তারা। দুই ম্যাচ শেষে মাত্র ১ পয়েন্ট মুক্তিযোদ্ধার। ব্রাদাসের্রও সমান ১ পয়েন্ট। গ্রæপের শেষ ম্যাচে ঢাকা আবাহনীর মুখোমুখি হবে ব্রাদাসর্ ইউনিয়ন। ওই ম্যাচের জয়-হার এবং গোল গড়ের ওপর নিভর্র করছে ১ পয়েন্ট নিয়ে আদৌ শেষ আটে খেলা হবে কিনা মুক্তিযোদ্ধার। আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দুটি ম্যাচ রয়েছে, দুটোই ‘বি’ গ্রæপের। প্রথম ম্যাচে দুপুর ৩টায় রহমতগঞ্জ বনাম চট্টগ্রাম আবাহনীর মধ্যে। এরপর বিকাল সোয়া ৫টায় মোহামেডানের প্রতিপক্ষ নবাগত নোফেল স্পোটির্ং ক্লাব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে