বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

চ্যালেঞ্জ দেখছেন মাশরাফি

চ্যালেঞ্জ প্রতি ম্যাচে যেটা থাকে সেটাই। সবার প্রত্যাশা আমরা জিতব এবং জেতার আশাই করছে সবাই। সেটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, অন্য দলের সঙ্গে যে চ্যালেঞ্জটা নিয়ে খেলেছি, গত এশিয়া কাপে যেভাবে খেলেছি, সেটাই থাকবে
ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ২১ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০
চ্যালেঞ্জ দেখছেন মাশরাফি

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জিতলে বাহবা পাওয়ার সুযোগ নেই। হেরে গেলেই সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হবে টিম বাংলাদেশ। সেটি নিয়ে বেশ সতকর্ টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মতুর্জা। তার মতে, সিরিজ জয়ের সঙ্গে আপস করার সুযোগ নেই। মাঠের পারফরম্যান্স ধরে রাখা ও নতুনদের ক্ষমতা যাচাই- এই দুই চ্যালেঞ্জ নিয়েই আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে নামবে বাংলাদেশ।

চোটের কারণে ছিটকে গেছেন দলের অপরিহাযর্ দুই সদস্য সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবাল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তাতে নতুনদের পরীক্ষানিরীক্ষা করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। সামনে বিশ্বকাপ বলেই নাজমুল হোসেন শান্ত, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, সাইফউদ্দিনদের যাচাই করতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। এই সিরিজে তাই বাড়তি চ্যালেঞ্জ থাকছে টাইগারদের জন্য। শনিবার মিরপুরে ম্যাচপূবর্ সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি নিজেও বললেন চ্যালেঞ্জের কথা।

দলের অনুশীলন শেষে মাশরাফি বলেছেন, ‘চ্যালেঞ্জ প্রতি ম্যাচে যেটা থাকে সেটাই। সবার প্রত্যাশা আমরা জিতব এবং জেতার আশাই করছে সবাই। সেটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, অন্য দলের সঙ্গে যে চ্যালেঞ্জটা নিয়ে খেলেছি, গত এশিয়া কাপে যেভাবে খেলেছি, সেটাই থাকবে। জিম্বাবুয়ের প্রায় সব সিনিয়র খেলোয়াড় ফিরেছে। আর তাদের দলের বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে সবচেয়ে ভালো রেকডর্ বাংলাদেশেই। সুতরাং আমাদের ১০০ ভাগ দিয়েই খেলতে হবে। হয়তো জিতলে সবাই বলবে, এটাই হওয়ার কথা ছিল। হারলে কিন্তু ভিন্ন কথা হবে, এটাই স্বাভাবিক।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজ দিয়েই বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা শুরু করতে চাচ্ছেন মাশরাফি, ‘যেকোনো সিরিজের প্রথম ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূণর্। কারণ, আপনি যদি বিশ্বকাপের দিকে তাকান, চারটা এ রকম সিরিজ খেলার সুযোগ আছে আমাদের। সেই দিক থেকে এটা খুব গুরুত্বপূণর্। কিছু নতুন খেলোয়াড় দলে নেয়া হয়েছে। সামনে বিশ্বকাপকে চিন্তা করে। তাদের দেখে নেয়ার এটাই সুযোগ। সেটাও মাথায় রাখতে হবে। একই সঙ্গে ম্যাচ জেতাটাও খুবই গুরুত্বপূণর্।’

ঘরের মাঠে ৯ মাস পর খেলতে নামছে বাংলাদেশ। গত জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের পর থেকে বিদেশের মাটিতেই খেলেছেন মাশরাফি-মুশফিকরা। প্রস্তুতি ভালো হওয়ায় লম্বা বিরতির প্রভাব থাকবে না বলে মনে করছেন মাশরাফি, ‘অনেকদিন পর হোমে খেলতে নামছি। তবে সবাই আত্মবিশ্বাসী। সাকিব-তামিম থাকবে না, এটা আগে থেকেই সবাই জানে। সেভাবেই সবাই প্রস্তুতি নিয়েছে, সেরা পারফরম্যান্স দেয়ার জন্য যা যা দরকারÑ করেছে। কাল খেলা, আশা করছি সবাই যেটা চাচ্ছে, সেটা যেন করতে পারে।’

মিরপুর স্টেডিয়ামের উইকেট বার বার হয়েছে সমালোচিত। সে কারণেই এখানকার উইকেট নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারছেন না বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি, ‘আমরাও বিশ্বাস করি মিরপুরের উইকেট আনপ্রেডিকটেবল। হঠাৎ করেই আচরণ বদলে ফেলে। হঠাৎ কর বল টানর্ করে, বা বল নিচু হয়ে আসে। চট্টগ্রামের উইকেট সাধারণত ব্যাটিং উইকেট হয়, ভালো উইকেট হয়। যদি ¯েøা উইকেট না তৈরি করেন, কিংবা টানির্ং উইকেট তৈরি না করেন তাহলে ব্যাটিং সহায়ক হবে। এই উইকেটটা একেবারে ওই রকম না। দ্বিতীয় ইনিংসে অন্যরকম আচরণ শুরু করে।’

শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলতে অভ্যস্ত বাংলাদেশ দলে যখন একদল সিনিয়র আছেন, তখন এই স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে আগেভাগে দুভার্বনার কিছুই দেখছেন না মাশরাফি, ‘আনপ্রেডিকেটেবল হলেও আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। কারণ বেশির ভাগ সিনিয়র প্লেয়ারই ১০ বছর ধরে এই উইকেটে খেলছে। তো এই জায়গায় অনেকটা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। ২০১৫ থেকে জেতা শুরু করেছি তখন থেকে আমার বিশ্বাস এই মাঠে আমাদের রেকডর্ ভালো।’

কিউরেটরের কাছে ভালো উইকেট চেয়েছেন তা জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক- ‘শুরুতেই যে ¯েøা বা টানর্ হবে, এমনটা আশা অবশ্যই করছি না। ভালো উইকেটে খেলতে চেয়েছি, এখন ভালো উইকেট হলেই হয়।’ প্রত্যাশা অনুযায়ী উইকেট পেলে ২৫০ থেকে ২৬০ রানের পুঁজি যথেষ্ট হবে বলেই মনে করছেন মাশরাফি, ‘প্রত্যাশা তো অবশ্যই করছি, সাধারণত ২৫০-৬০ রান হলে ম্যাচ ভালো হয়, আগে ব্যাট করা দলের জেতার সুযোগ বেশি থাকে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<18550 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1