বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ধীরে চলো নীতির পরামর্শ বিসিবির

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ৩০ জুলাই ২০২০, ০০:০০

চার মাস ঘরবন্দি থাকার প্রভাব মাঠে এসে টের পেয়েছেন ইমরুল-মিঠুন-তাসকিনরা। অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে উঠেছেন অনেকে। ফিটনেস যে আগের অবস্থায় নেই, সেটি স্বীকারও করেছেন অকপটে। করোনাভাইরাস পাল্টে দিয়েছে অনেককিছুই। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনুশীলনের ধরনেও আনতে হয়েছে বদল। চিরায়ত পদ্ধতি থেকে সরে ক্রিকেটারদের 'ধীরে চলো নীতি' অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছেন বিসিবি চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী। জানিয়েছেন, মাঠে ফিরেই শরীরের উপর বেশি চাপ প্রয়োগ করলে ঘটতে পারে বিপদ।

ফেসবুক লাইভ 'বি অ্যাকটিভ' অনুষ্ঠানে মঙ্গলবারের অতিথি ছিলেন ডা. দেবাশীষ। ক্রিকেটারদের সতর্ক করে তিনি বলেন, 'যেহেতু তারা অনেকদিন ধরে খেলার বাইরে, অনেকেই উদগ্রীব হয়ে আছে, নিজেদের প্রমাণ করার জন্য মরিয়া হয়ে আছে। আমাদের এখানে লাগামটা একটু টানতে হবে। আমরা আগাব, কিন্তু পরিকল্পনা অনুসারে আগাতে হবে। না হলে নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলবে তারা। মাংসপেশি, হাড়ে ইনজুরি হবে। সেটা পরে একজন খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারেই বাজে প্রভাব ফেলতে পারে। এজন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি সমন্বিত পরিকল্পনার তত্ত্বাবধানে অনুশীলন কার্যক্রম পরিচালন করা।'

বিসিবির চিকিৎসক বলেন, 'মাঠে ফেরার পর খেলোয়াড়দের প্রথম ধাপ হচ্ছে ফিটনেস একটা সন্তোষজনক মানে নিয়ে আসা। সেটি পেতে ২-৩ সপ্তাহ লাগবে। সময়টা খেলোয়াড়দের আমরা দিতে চাই। সন্তোষজনক মানটা যখন অর্জন করতে পারবে, আমরা তাদের কার্যক্রমে স্কিল অনুষঙ্গ ঢোকানোর চেষ্টা করব। এটি হচ্ছে একটা পরিকল্পনা। সবাই একইরকমভাবে এটা অনুসরণ করবে ব্যাপারটা এরকম না। এখানে পেস বোলারদের কথা যদি আলাদা করে বলি, তারা সবচেয়ে বেশি ইনজুরিপ্রবণ। তারা দেড়-দুই মাস যদি বোলিং কার্যক্রমের বাইরে থাকে, হাড়ে অনেক সমস্যা হয়।'

'হঠাৎ করে যদি পেস বোলাররা পুরো মাত্রায় খেলায় ফিরে আসে, শরীরের উপর জোর প্রয়োগ করে খেলার জন্য, ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের মাংসপেশি, হাড় প্রস্তুত না এই লোড নেওয়ার জন্য। ধারাবাহিক প্রক্রিয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। ট্র্যাডিশনাল ট্রেনিং কালচার চিন্তা করলে হবে না। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার ট্রেনিং নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কীভাবে ধাপে ধাপে আসলে ফিরে আসব, সেটা দেখতে হবে। এজন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দিষ্ট একটি পরিকল্পনার অধীনে অনুশীলন করা।'

করোনা বিরতি কাটিয়ে বিসিবির ব্যবস্থাপনায় দেশের চার ভেনু্যতে ১৩ ক্রিকেটার প্রায় দশদিন করেছেন একক অনুশীলন। ঈদের পর বাড়তে পারে খেলোয়াড় সংখ্যা। দেবাশীষের ধারণা তখনই আসল চ্যালেঞ্জটা সামনে আসবে।

'খেলোয়াড়দের একক অনুশীলনে চেষ্টা করেছি শারীরিক দূরত্ব রাখতে। ১৩-১৪ জন ক্রিকেটার কাজ করেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের যে অভিজ্ঞতা সেটি ভালো। কমসংখ্যক খেলোয়াড় এতে অংশগ্রহণ করেছে। আমার ব্যক্তিগত ধারণা হচ্ছে ঈদের পর যদি বড় আকারে অনুশীলন সেশন পরিচালনা করি, তখন মূল চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হব। সেটিই আমাদের এসিড টেস্ট হবে আসলেই আমরা কতটুকু স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে কাজটা করতে পারছি।'

'খেলায় ফিরে আসার ব্যাপারে আইসিসির একটি গাইডলাইন আছে। সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে ব্যাপারটা সেরকম না। তবে গাইডলাইনটা থাকলে আমাদের পরিকল্পনা করতে সুবিধা হয়। গাইডলাইন অনুযায়ী যদি আগাই, আমাদের একক অনুশীলনের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে গ্রম্নপ ট্রেনিং তিনজন, পাঁচজন, দশজন, এভাবে সংখ্যাটা বাড়াব। এতে দুটি কাজ হবে, ওরা সময় পাবে ধীরে ধীরে খেলায় ফিরে আসার, যেটি ইনজুরি ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।'

'চার মাস অনুশীলনের বাইরে থাকা খেলোয়াড়দের ইনজুরির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটাকে আমরা বলি ট্রেনিং বাই ট্র্যাডিশন অর্থাৎ আমরা এত বছর যে ট্রেনিং করে এসেছি, যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, সেটিই যদি আমরা অনুসরণ করতে যাই এই সময়ে, তাহলে ইনজুরির প্রবণতা বেড়ে যাবে। আমাদের এ মুহূর্তে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে অনুশীলন পরিকল্পনা।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<107512 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1