বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বলে কয়ে গোল রোহোর!

ক্রীড়া ডেস্ক
  ২৮ জুন ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ২৮ জুন ২০১৮, ১০:২৯
নাইজেরিয়ার বিপক্ষে বঁাচা-মরার লড়াইয়ে আজেির্ন্টনাকে জয়সূচক গোল এনে দেয়ার পর মেসির সঙ্গে মাকোর্স রোহো Ñওয়েবসাইট

আজেির্ন্টনার ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা একটি গোল মঙ্গলবার রাতে এল মাকোর্স রোহোর পা থেকে। যে গোল নাইজেরিয়ার বিপক্ষে বঁাচা-মরার লড়াইয়ে জয় এনে দিয়েছে আলবিসেলেস্তেদের, লিওনেল মেসি আর তার সতীথের্দর বঁাচিয়েছে বিশ্বকাপের গ্রæপ পবর্ থেকে ছিটকে যাওয়ার লজ্জা থেকে, পৌঁছে দিয়েছে আসরের শেষ ষোলোতে। তবে অমন একটি গোল তিনি করবেন, সেটা নাকি সতীথের্দর আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন এই ডিফেন্ডার।

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে জিততেই হতো আজেির্ন্টনাকে। শুরুতেই মেসির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তারা। কিন্তু বিরতির পর পেনাল্টি থেকে সমতায় ফেরে নাইজেরিয়া। এরপর আর গোলের দেখা মিলছিল না। কিন্তু শেষ মুহূতের্ রোহের কল্যাণে দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আজেির্ন্টনা, সঙ্গে পেয়ে যায় শেষ ষোলোর টিকিটও।

অথচ বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়া নিশ্চিত ছিল না রোহোর। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে হতাশাজনক একটা মৌসুম কেটেছে গতবার। বাজে ফমের্র কারণে বেশিরভাগ সময় বেঞ্চে বসেই কাটাতে হয়েছিল তাকে। তবুও তার ওপর আস্থা রাখেন আজের্ন্টাইন কোচ হোহের্ সাম্পাওলি। প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে শুরুর একাদশে খেলার সুযোগও মেলে তার। ওই ম্যাচে আজেির্ন্টনা ড্র করার পর ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে বিশ্রামে রাখেন সাম্পাওলি। ওই ম্যাচে মেসিদের রক্ষণভাগের দুবর্লতা ছিল লক্ষণীয়। গোলও হজম করে তিনটি।

সাম্পাওলির বিতকির্ত সিদ্ধান্তের পর নাইজেরিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটিতে একাদশ সাজানোর দায়িত্ব নিজেদের কঁাধে তুলে নেন মেসি আর অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার হ্যাভিয়ের মাচেরানো। তারা রোহোকে ফিরিয়ে আনেন সেন্ট্রালব্যাকে। আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন রোহো। প্রয়োজনীয় এক গোল করে নায়ক বনে গেছেন। ম্যাচ শেষে ম্যানইউ তারকা জানিয়েছেন মনে গোল করার সংকল্প পুষেই খেলতে নেমেছিলেন তিনি। আর সেটা সতীথের্দর জানিয়েও ছিলেন রোহো, ‘আমি এভার বানেগা আর ওটামেন্ডিকে বলেছিলাম যে আমি গোল করতে যাচ্ছি।’

ঐতিহাসিক এই গোলটি নিজের পরিবারকে উৎসগর্ করেছেন রোহো। আজেির্ন্টনার বিশ্বকাপ যাত্রা কেবল শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। সেজন্য ভক্তদের পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন এই ডিফেন্ডার, ‘আমি ওটা আমার পরিবারকে উৎসগর্ করলাম। দুঃসময়ে তারা আমার পাশে ছিল। এই সাপোটর্টা দলের প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের প্রাপ্য। এটা কেবল আমাদের শুরু।’

রোহোর এই গোলের পেছনে অন্যরকম এক উৎসাহ কাজ করেছে। উৎসাহটা দিয়েছিলেন মেসি। ম্যাচ শেষে যাকে ‘সেরা অধিনায়ক’ অ্যাখা দিয়েছেন রোহো নিজেই। কী করেছিলেন মেসি? ম্যানইউ ডিফেন্ডার বলেন, ‘ম্যাচের দ্বিতীয়াধের্ মেসি আমাদের বলেছে, আমাদের সবার দায়িত্ব ম্যাচে গোল বাড়ানো। যখনই সুযোগ পাব, গোল আদায় করার চেষ্টা করতে হবে। আমাদের কার কী পজিশন, সেটা না ভেবে গোল করতে হবে। যখনই আমার সামনে বল আসবে, তখনই বলকে আঘাত করে লক্ষ্যভেদ করতে হবে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে