বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচগুলো হবে অক্টোবর ও নভেম্বরে। এখনো ক্যাম্প শুরু না করলেও জাতীয় দলে ডাক পেতে নিজেদের প্রস্তুত রাখছেন ফুটবলাররা। কোচ জেমি ডে সাধারণত খুব একটা পরিবর্তন আনেন না জাতীয় দলে। তাই পূর্বের জাতীয় দলের অনেক ফুটবলার ঠাঁই পাবেন এমনটা আশা করাই যায়। পরবর্তী ম্যাচগুলোর মধ্যে হোম ম্যাচে পয়েন্ট আদায় করতে আশাবাদী দলের ফুটবলাররা। আক্রমণভাগের দুই ফুটবলার সুফিল ও সাদ জানালেন ভারতের বিপক্ষের ম্যাচ নিয়েই তারা বেশি রোমাঞ্চিত।
জাতীয় দলের ফুটবলার মাহবুবুর রহমান সুফিল বলেন, 'পরবর্তী ম্যাচগুলো নিয়ে একটা বিষয়ই মাথায় আছে। সেটা হলো দেশের মাটিতে তিন ম্যাচ। ওইগুলোতে আমাদের ভালো করতেই হবে। আমাদের টিমের আগের যে পারফরম্যান্স ছিল। সেটি যদি আমরা ধরে রাখতে পারি তাহলে ওই ম্যাচগুলো থেকে কিছু পয়েন্ট অবশ্যই পাওয়া যাবে আশা করছি।'
তিন ম্যাচের মধ্যে হোম ম্যাচগুলো ভারত, ওমান ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এর মধ্যে সুফিল সব থেকে বেশি আশাবাদী ভারতের বিপক্ষের ম্যাচ নিয়ে। কারণটা কী জানতে চাইলে এই ফরোয়ার্ড বলেছেন, 'ভারত নামটা শুনলেই একটা অন্য রকম উত্তেজনা কাজ করে। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ সব সময়ই রোমাঞ্চকর হয়। প্রতিপক্ষ যখন ভারত তখন ম্যাচটা জমে যায়। যখন ওদের মাটিতে আমরা খেলতে গেছি। তখনও অন্য রকম একটা অনুভূতি কাজ করছিল। কী খেলব। কখন মাঠে নামব তার জন্য অস্থির হয়ে গেছি। ড্রেসিংরুমেও একটাই কথা ছিল। অনেকদিন পর তাদের পেয়েছি। কিছুতেই ছাড়া যাবে না।'
'তাদের মাটিতে ম্যাচটা কিন্তু আমরা জিততে জিততেই ড্র করেছি। এখন আমাদের ঘরের মাটিতে পাচ্ছি। এখন তো কিছুতেই তাদের ছাড়াই যাবে না। যে করেই হোক ম্যাচটাতে ভালো করতে হবে।' যোগ করেন সুফিল।
ভারতের ম্যাচটা জিততে পারলে জয়ের নায়ক হতে পারতেন ফরোয়ার্ড সাদ উদ্দিন। কারণ তার দেওয়া গোলেই ওই ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ওই ড্র ম্যাচটিও কিন্তু বড় সাফল্য ছিল লাল-সবুজদের। ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষের ম্যাচ নিয়ে কী ভাবছেন এই ফরোয়ার্ড? সাদ জানালেন, 'আমি আশা করি ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষের ম্যাচটা খুব রোমাঞ্চকর হবে। আমাদের হোম ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচটি অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে এবং নিজের মাঠে খেলা হওয়ায় আমরা একটু বাড়তি সুবিধাতো অবশ্যই পাব।'
\হঘরের মাঠে এই ম্যাচে জয় পেতে কতটা আত্মবিশ্বাসী? জানতে চাইলে সাদ বলেন, 'আমার মনে হয় ওই ম্যাচে আমরা দুই দলই খুব ভালো স্কোয়াড নিয়ে নেমেছিলাম। আমাদের বর্তমান যে স্কোয়াড আছে আশা করি যদি আমরা আমাদের আশানুরূপ পারফরমেন্স ও ফর্ম ধরে রাখতে পারি, ভারতের সাথে আমি জয়ের সম্ভাবনাই দেখছি। আমরা অবশ্যই শতভাগ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে জয়ের জন্যই নামব। ব্যক্তিগতভাবে অবশ্যই গত ম্যাচের মতো স্কোর করে দলকে এগিয়ে দিতে চাই এবং ম্যাচের সম্পূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জনই আমাদের লক্ষ্য। তবে ম্যাচটা মোটেই সহজ হবে না। দুই দলেরই ফিফটি-ফিফটি সম্ভাবনা থাকবে।'
বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচগুলোর তিনটি হোম ম্যাচ। প্রথমে আফাগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলবে লাল-সবুজরা। এরপর কাতারের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলে ফিরে। ভারত ও ওমানের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে খেলবে জামাল ভূঁইয়ার দল। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাই পর্বের এই ম্যাচগুলো হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের মার্চ ও জুনে। কিন্তু সারাবিশ্বের করোনা পরিস্থিতির কারণে ম্যাচগুলো পিছিয়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী ৮ অক্টোবর আফগানিস্তান, ১৩ অক্টোবর কাতার, ১২ নভেম্বর ভারত এবং সর্বশেষ ১৭ নভেম্বরে ওমানের বিপক্ষে খেলবে জেমি'ডের শিষ্যরা।