মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
করোনার প্রভাব

বদলে গেছে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন

যাযাদি ডেস্ক
  ২৩ মার্চ ২০২০, ০০:০০
কয়েক সপ্তাহ আগেও চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ছিল যাচ্ছেতাই। রেললাইনের ওপর ময়লা, অপরিষ্কার স্টেশন চত্বর আর ভাসমান মানুষের আবাসস্থল ছিল সেখানে নিত্যদিনের সঙ্গী। সেই স্টেশন এখন চোখ ধাঁধানো পরিষ্কার-পরিপাটি। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের পস্নাটফর্মের ছবিটি শনিবার তোলা -যাযাদি

কয়েক সপ্তাহ আগেও চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ছিল যাচ্ছেতাই। রেললাইনের ওপর ময়লা, অপরিষ্কার স্টেশন চত্বর আর ভাসমান মানুষদের আবাসস্থল ছিল সেখানে নিত্যদিনের সঙ্গী। সেই স্টেশন এখন চোখ ধাঁধানো পরিষ্কার-পরিপাটি, বদলে গেছে পুরোপুরি।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রেলস্টেশন ও ট্রেনে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরুর নির্দেশনা আসার পর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে সবকটি স্টেশনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়। উচ্ছেদ করা হয় ভাসমান দোকান ও মানুষদের।

শুধু স্টেশন চত্বর নয়, পূর্বাঞ্চলের প্রত্যেকটি আন্তঃনগর ও মেইল ট্রেনেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে। ট্রেনের দরজা, হাতল, সিট, ওয়াশরুমসহ মানুষের স্পর্শ লাগা প্রতিটি জায়গায় জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঢাকা, খুলনা ও বেনাপোল স্টেশনে হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটারে পরীক্ষা করা হচ্ছে শরীরের তাপমাত্রা।

চট্টগ্রাম থেকে সকাল ৯টায় ছেড়ে যাওয়া পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী তাহমিদা আহমেদ বলেন, কয়েক সপ্তাহ আগের স্টেশন আর বর্তমান স্টেশনের পার্থক্য আকাশ-পাতাল। ময়লা-আবর্জনা ও উৎকট গন্ধে যে স্টেশনে বসে থাকা দায় ছিল, সেই স্টেশন এখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। দেখতে বিদেশের কোনো স্টেশনের মতো লাগছে। এছাড়া ট্রেনের ভেতরের পরিবেশও বেশ চমৎকার।

রফিকুল ইসলাম নামে আরেক যাত্রী বলেন, এরকম যেন সারাবছরই থাকে। এভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে যেকোনো রোগব্যাধি থেকে মুক্ত থাকা যায়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনসার আলী বলেন, আমরা প্রতিদিনই দুবার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন চত্বর পরিষ্কার রাখছি। ট্রেনে যাত্রী ওঠার আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করিয়ে নিচ্ছি। পাশাপাশি সচেতনতামূলক বিভিন্ন বাণীও প্রচার করছি মাইকে, লিফলেট বিতরণ করে।

এদিকে, চট্টগ্রামে বিদেশফেরত আরও ১১৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে রোববার পর্যন্ত মোট ৯৭৩ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৯৭৩ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। সকলকে কোয়ারেন্টিন মেনে চলার অনুরোধ করছি। কারণ নিজে সচেতন হলেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব রোধ করা যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<93743 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1