শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা শহরের চাপ কমাবে আউটার সার্কুলার রোড

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:২৮
সার্কুলার রোডের রেপিস্নকা

ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে এবার উত্তরে সার্কুলার রোড নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মূলত শহরের ভেতরের চাপ কমাতেই এ উদ্যোগ। আউটার সার্কুলার রোড নির্মাণের ফলে ঢাকার পাশ দিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাবে যানবাহন। এতে একদিকে যেমন সময় কম লাগবে, অন্যদিকে ঢাকার অভ্যন্তরীণ চাপও কমবে। আউটার সার্কুলার রোডটি ঢাকার উত্তর, বুড়িগঙ্গা, বালু নদী ও দুই নদীর পাশের মহলস্না দিয়ে যাবে। আউটার সার্কুলার রোড নির্মাণের ফলে ঢাকার অভ্যন্তরে যানবাহন প্রবেশ না করেই মানিকগঞ্জ-আরিচা থেকে সিলেট, চট্টগ্রাম থেকে টাঙ্গাইল-সিরাজগঞ্জ, রংপুর থেকে কুমিলস্না, মাওয়া পদ্মা থেকে সাভার, ময়মনসিংহ থেকে খুলনা রুটে যাতায়াত করা যাবে। এই রোড নির্মাণে কী পরিমাণে ব্যয় হবে, নকশা কেমন হবে, নির্মাণ করতে গিয়ে কী পরিমাণে জমি লাগবে- এগুলো নির্ধারণ করবে ঢাকা পরিবহণ সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। এ কাজ এগিয়ে নিতে প্রাথমিকভাবে 'ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি অন ঢাকা আউটার সার্কুলার রোড: নর্দান পার্ট' প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে ডিটিসিএ। চলতি সময় থেকে ২০২১ সালের জুন মেয়াদে ১৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা দিয়ে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এর পরেই বড় আকারে প্রকল্প নেবে ডিটিসিএ। আগামী অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বৈদেশিক ঋণ পাওয়ার সুবিধার্থে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ডিটিসিএ সূত্র জানায়, রাজধানী ঢাকা বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ একটি শহর। ঢাকায় প্রায় দেড় কোটি মানুষের বসবাস। প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ৪০ হাজার জন বাস করেন। এ মহানগরে পরিবহণের ক্ষেত্রে প্রতিদিন প্রায় ৩০ মিলিয়ন ট্রিপ তৈরি হয়। নগর পরিবহণে বাস, প্রাইভেটকার, অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেল ইত্যাদি যান্ত্রিক বা অযান্ত্রিক যানবাহন ব্যবহৃত হয়। এছাড়া আন্তঃজেলার বাসগুলো আউটার সিটি রোড অথবা বাইপাসের অভাবে শহরের ভিতর দিয়ে যাতায়াত করে, যা বাসগুলোর ভ্রমণ সময় বৃদ্ধিসহ শহরের মধ্যে যানজট সৃষ্টি হয়। এ সমস্যা সমাধানের জন্য আউটার সিটি রোড নির্মাণ করা হবে। ডিটিসিএ সূত্র জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকায় কয়েকটি রিংরোড নির্মাণের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সমীক্ষা করা হচ্ছে। সমীক্ষা প্রণয়নের জন্য ২৭৪ জন স্থানীয়, ১২ জন একক কারিগরি পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রকল্পের আওতায় ২৭৪ স্থানীয় পরামর্শক খাতে ১৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। আর প্রশিক্ষণ খাতে ধরা হয়েছে ৭৪ লাখ ও ক্যাপাসিটি বিল্ডিং বাবদ ৬০ লাখ টাকা ব্যয়। ডিটিসিএ অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, ঢাকা আউটার সার্কুলার রোড নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছি। মূল প্রকল্প নেওয়ার আগেই ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জানতে পারব মূল প্রকল্প বাস্তবায়নে কী পরিমাণে অর্থ লাগবে, রুট কীভাবে যাবে ও কত জমি প্রয়োজন। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে ঢাকা শহরের চাপ কমে যাবে। অন্য রুটের গাড়ি অহেতুক ঢাকায় প্রবেশ করবে না। যেমন একটি ট্রাক রাজশাহী থেকে চট্টগ্রাম রুটে যাতায়াত করবে। এই ট্রাকের ঢাকায় প্রবেশের দরকার নেই। ঢাকায় প্রবেশ না করে ট্রাকটি রাজশাহী-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করলে খরচ ও সময় দুটোই বাঁচবে। ঢাকার বাড়তি চাপও থাকবে না। ঢাকার অভ্যন্তরের চাপ কমাতে দ্রম্নতই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে