শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাদক উৎপাদন না করেও আমরা মাদকের শিকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:৩৮
আসাদুজামান খান কামাল

জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের মতো মাদকের বিরুদ্ধেও সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, সরকার জঙ্গি দমনে সফল হয়েছে। জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের মতো মাদকের বিরুদ্ধেও সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করেছে। সবার সহযোগিতায় এই মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকার সফল হবে। শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আহছানিয়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা আহছানিয়া মিশন পরিচালিত মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের ৩০ বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আহছানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলম। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সঞ্জয় কুমার চৌধুরী, আহছানিয়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ফজলে এলাহী এবং ঢাকা আহছানিয়া মিশনের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি জাতিকে ধ্বংস করার জন্য মাদক সব থেকে বড় হাতিয়ার। যুবসমাজের মধ্যে মাদক ঢুকিয়ে দিতে পারলেই সেই জাতি ধ্বংস নিশ্চিত। আমাদের দেশের যুবসমাজকে মাদকাসক্ত করার নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। মাদকাসক্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তিনি আরও বলেন, মাদক উৎপাদন না করেও আমরা মাদকের শিকার। তাই মাদক পাচারের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। মুজিব বর্ষকে সামনে রেখে মাদক নির্মূলে সরকার ও বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, দেশের কারাগারগুলোর বন্দিদের মধ্যে ৩০ দশমিক ৪ শতাংশই মাদকে সম্পৃক্ত। তাদের মধ্যে মাদকাসক্ত ও মাদকবহনকারী রয়েছে। বিপুলসংখ্যক এই মাদকসম্পৃক্তদের কারাগারে রাখা তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, তাদের জন্য মাদকসম্পৃক্ত নন- এমন বন্দিরাও ঝুঁকিতে থাকেন। তিনি আরও বলেন, এই মাদকসম্পৃক্ত বন্দিদের আলাদা রাখার চেষ্টা চলছে। কিন্তু কারাগারাগুলোতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দি থাকায় তা সব সময় করা যায় না। এরপরও কারাগারে মাদক ঠেকাতে সন্দেহভাজন বন্দিদের তলস্নাশির জন্য ডগ স্কোয়াডের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই ডগ স্কোয়াড দিয়ে আগামীতে তলস্নাশি করা হবে বলেও তিনি উলেস্নখ করেন। মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন মহাপরিচালক সঞ্জয় কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, চাহিদা ও সরবরাহ কমাতে পারলেই বোঝা যাবে দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা কমছে। আমরা সেটাই করার চেষ্টা করছি। এ ক্ষেত্রে জনগণকে আরও বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে মাদকবিরোধী প্রতিবেদনের জন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার দুই সাংবাদিকের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়। স্মারক পেয়েছেন যমুনা টেলিভিশনের নাযমুস সাইদ ও দৈনিক সমকালের তাসলিমা তামান্না। এ ছাড়া আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য শূরা বিভাগের ১০ জন সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়। \হসবশেষে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে