বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আলোচনা সভায় বক্তারা

গণমাধ্যমে বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকারের চাওয়া পূরণ হবে না

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:৩৮

গণমাধ্যমের প্রচার, প্রকাশনায় বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকারের চাওয়া পূরণ হবে না বরং প্রচার-প্রকাশ করতে দিলে স্টাবলিশার বা সরকার যা চায় তা পূরণ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা। শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত 'উগ্রবাদ রোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক আলোচনা সভায় দেশের বেসরকারি টেলিভিশনের দায়িত্বরত সিনিয়র সাংবাদিক ও কর্মকর্তারা এই দাবি করেন। সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিসা) আয়োজিত আলোচনা সভায় একাত্তর টিভির কর্ণধার মোজাম্মেল বাবু বলেন, 'বাংলাদেশে ২০টির বেশি টেলিভিশনের দরকার নেই। কিন্তু সরকার লাইসেন্স দিয়েছে ৪০টি। এতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এভাবে আমাদের শক্তি কমিয়ে ফেলা হচ্ছে। মূলধারার মিডিয়ায় ছাঁটাই চলছে। আবার সরকারের কাজ মিডিয়ার টুঁটি চেপে ধরা নয়, কিন্তু সত্য প্রচারেরও টুঁটি চেপে ধরা হয়। একটি নিউজ অন এয়ার করা হলে স্টাবলিশার (সরকার) থেকে বলা হচ্ছে, থামান। লাইনে লাইনে সংশোধন করতে হচ্ছে। আমাদের ওপর আস্থা নেই স্টাবলিশারের। কিন্তু আপনি কিছু না দেখালে গুজব আরও বেশি ছড়াবে।' পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম বলেছেন, 'গেস্নাবাল টেররিজম ইনডেক্স অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য অনেক ঝুঁকির দিকে আছে। কিন্তু বাংলাদেশের অবস্থা উন্নতির দিকে। ২০১৭ সালের গেস্নাবাল টেররিজম ইনডেক্সে বাংলাদেশ বৈশ্বিক ঝুঁকির তালিকায় ১৯ নম্বরে ছিল, ২০১৮ সালে কমে ২৫ নম্বরে আসে এবং ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ৩১ ধাপে উন্নীত হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান এই ঝুঁকির তালিকায় ১০-এর ভেতরে রয়েছে। পশ্চিমা অনেক দেশের চেয়ে আমাদের ঝুঁকি কম।' জিটিভি ও সারাবাংলা ডটনেটের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, 'কোথাও জঙ্গি আটক বা গ্রেপ্তার হলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে জেহাদি বইসহ যোদ্ধা আটক হয়েছে। কিন্তু এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করলে জঙ্গিবাদকে এক ধরনের উদ্বুদ্ধ করা হয়।' তিনি আরও বলেন, 'সবাই রেসপনসিবল জার্নালিজম করতে বলেন, কিন্তু গুড ডেমোক্রেসির কথা বলেন না। গুড ডেমোক্রেসি না হলে গুড জার্নালিজম হবে না।' সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, 'বাংলাদেশের মূল ধারার মিডিয়াগুলো এখন আর ধর্ষণের শিকার নারীর ছবি প্রচার করে না। অনেক ক্ষেত্রে পরিচয় ছাপা হয় না। এক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে