বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকল্পের পণ্য ক্রয়ে সাবধান থাকব: পরিকল্পনামন্ত্রী

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:১১
এম এ মান্নান

যেকোনো প্রকল্পের বিভিন্ন জিনিস ক্রয় সম্পর্কে এখন জনগণের আগ্রহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, 'প্রকল্পের বিভিন্ন জিনিস ক্রয় সম্পর্কে আমাদের জনগণের প্রচন্ড আগ্রহ আছে। এটা খুব ভালো। তারা জানতে চায়, আমরা কোথায় কী কিনছি, কত টাকায় কিনছি, কেন কিনছি, এর চেয়ে আরও কম দামে বাজারে ছিল কি-না। ক্রয়ের বিষয়ে আমরা সাবধানতা অবলম্বন করব।' সোমবার বিকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনইসি সম্মেলন কক্ষে 'জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১' বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। এবারের জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজ নির্ভুল করা হবে বলে আশা ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, 'একসময় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরোর (বিবিএস) পরিসংখ্যান নিয়ে অনেক মহলে হাসাহাসি হতো। এখন আর সেই দিন নেই। বর্তমানে জনশুমারি ও গৃহগণনার (আদমশুমারি) কাজ চলমান রয়েছে, এবার এর পরিসংখ্যান নিয়ে এ ধরনের (নেতিবাচক) কোনো মন্তব্য করার সুযোগ থাকবে না' তিনি বলেন, 'আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক আজকাল তাদের ডকুমেন্টে আমাদের পরিসংখ্যান ব্যবহার করে। উলেস্নখ করে সোর্স হিসেবে বিবিএস, বাংলাদেশ। আমরা এখন গর্ববোধ করি। অনেক মহল আগে এটা নিয়ে হাসাহাসি করত। কিন্তু এখন সেই দিন নেই। উত্তরোত্তর আরও ভালো করব।' তিনি আরও বলেন, 'জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১' প্রকল্পের আওতায় এ শুমারি পরিচালিত হচ্ছে। এর বাস্তবায়ন করছে বিবিএস। এতে খরচ হচ্ছে ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ১ হাজার ৫৭৮ কোটি ৬৮ লাখ এবং বৈদেশিক অর্থায়ন ১৮৩ কোটি ১১ লাখ টাকা। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, 'এ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন জিনিস আমরা ক্রয় করব। ক্রয় সম্পর্কে আমাদের জনগণের প্রচন্ড আগ্রহ আছে। এটা খুব ভালো। তারা জানতে চায়, আমরা কোথায় কী কিনছি, কত টাকায় কিনছি, কেন কিনছি, এর চেয়ে আরও কম দামে বাজারে ছিল কি-না। ক্রয়ের বিষয়ে আমরা সাবধানতা অবলম্বন করব।' তিনি বলেন, 'আগের তুলনায় চারগুণ সম্মানি দেয়া হবে মাঠপর্যায়ের তথ্যগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের। এ সম্মানি দ্রম্নত প্রদান করতে হবে। আমি সচিব ও প্রকল্প পরিচালককে এ টাকা দ্রম্নত প্রদানের অনুরোধ করব।' মন্ত্রী বলেন, প্রথমবারের মতো মাল্টিমোড পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। মাল্টিমোডের মধ্যে রয়েছে, মোবাইল অ্যাপ, ওয়েব অ্যাপ, ড্রপ অ্যান্ড পিক, পেপার বেইজড, কল সেন্টার ইত্যাদি। এর মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো সীমিত আকারে ই-সেন্সাস পরিচালনা করা হবে। ই-সেন্সসে যারা তথ্য দিতে আগ্রহী তারা হাউজ হোল্ডের আইডি দিয়ে তথ্য দিতে হবে। তবে কেউ যদি ই-সেন্সাসে জনশুমারির তথ্য দিতে না চায় তাহলে বিবিএসর কর্মীরা প্রশ্নপত্র নিয়ে ফরম পূরণ করে আনবে। প্রকল্পে অর্থ খরচের বিষয়টি তিনি নিজে তদারকি করবেন বলেও জানান মন্ত্রী এম এ মান্নান। এই শুমারির কাজ ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে