মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চাকরি রক্ষা করাটাই সিইসির কাছে মুখ্য: রিজভী

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৭ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ১৭ জানুয়ারি ২০২০, ০০:২৫
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী -যাযাদি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদাকে 'সরকারের আজ্ঞাবাহী' আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'সিইসি এমন একজন ব্যক্তি, এমন একজন অনুগত সরকারের, উনি বলেছিলেন, দলগুলো না চাইলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না। তারপরও ইভিএম ব্যবহার করছেন। কারণ শেখ হাসিনা যেটা চায় সেটাই তিনি করবেন। উনি হলেন আজ্ঞাবাহী দাশানুদাশ। এই যে গণতন্ত্র হত্যার ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচনকে জলাঞ্জলি দিয়ে, তার প্রধান নায়ক এই সিইসি কেএম নূরুল হুদা।' রিজভী বলেন, 'সিইসি কথা অনেক ভালো ভালো বলেন, বিধি লঙ্ঘন, অমুক করা, তমুক করা- এসব কথা বলবেন। তারপরও আপনি দেখবেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ধারাবাহিকভাবে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করবে সেই দিকটায় তার চোখ অন্ধ হয়ে যায়, সেই চোখটা তার খোলা থাকে না। কিন্তু বিএনপির যদি সামান্য ক্রটি দেখে বা ক্রটি না দেখলেও ত্রম্নটি বানিয়ে সেখানে তিনি ব্যবস্থা নেন।।' বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, 'আমরা চাই, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। তাদের সেই ক্ষমতা আছে। কিন্তু সেই ক্ষমতা সিইসি প্রয়োগ করতে চান না। কারণ উনি মনে করেন তার চাকরি দিয়েছেন শেখ হাসিনা ও তার সরকার। তার কাছে চাকরি রক্ষা করাটাই মুখ্য, গণতন্ত্র রক্ষা বা সুষ্ঠু নির্বাচন করানোটা মুখ্য নয়।' ইভিএম ভোট ডাকাতির মেশিন : রিজভী বলেন, 'ইভিএম দিয়ে ডিজিটাল ভোট ডাকাতির মহড়া হল গত ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-৮ আসন ও হাইমচর উপজেলা নির্বাচনের ভোটে। ওটা ছিল প্রস্তুতি ম্যাচ। সেখানে প্রমাণ হয়েছে ভোটার ছাড়াই ইভিএমে নৌকা প্রার্থীদের কীভাবে পাস করানো যায়। আমরা মনে করি ইভিএম হচ্ছে গত ২৯ ডিসেম্বর মধ্য রাতে নির্বাচনের মতো ভোট ডাকাতির আরেকটি কৌশল। এটা হচ্ছে ভেল্কিবাজীর মেশিন, ভোট লুটের মেশিন।' তিনি বলেন, 'ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনও চট্টগ্রামের মতো দখলের নীলনকশার প্রস্তুতি কি না তা নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে। ঢাকাতেও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রচারণার চলার মধ্যে গ্রেপ্তার করবে না বলেও প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এখন গ্রেপ্তার চলছে, অভিযানও চলছে, আক্রমণ চলছে, হামলা চলছে এবং হামলার মাধ্যমে একটা ভয়ভীতির পরিবেশ তারা সৃষ্টি করেছে।' ঢাকা দক্ষিণে বুধবার নির্বাচনী প্রচারণা থেকে দলের যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজকে লালবাগ থেকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবিও জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে