বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জবাবদিহিতা না থাকা ধর্ষণের মূল কারণ: আমীর খসরু

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৮ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন -পিবিএ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকারের জবাবদিহিতা না থাকা বাংলাদেশে সংঘটিত হওয়া ধর্ষণগুলোর মূল কারণ। অন্য কোনো দেশে একটি ধর্ষণ হলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সরকারকে পদে পদে জবাবদিহিতা করতে হয়। কিন্তু আজ বাংলাদেশে সেই জবাবদিহিতা অনুপস্থিত। এটাই ধর্ষণের মূল কারণ। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। রোববার কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ধর্ষণ প্রতিনিয়ত চলছে বাংলাদেশে। শিশু, যুবতী ও বিবাহিত নারী পর্যন্ত ধর্ষিত হচ্ছে। এসব ধর্ষণের পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে। সেটা হচ্ছে সরকারের জবাবদিহিতা না থাকা। কোনো ধরনের জবাবদিহিতা আজকে সরকারের নেই। সরকার প্রয়োজন মনে করছে না। তিনি বলেন, যখন আপনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন, তখনই জবাবদিহিতার প্রশ্নটা আসে। আজকে যারা ক্ষমতায় এসেছে দখল করে, এই অনির্বাচিত সরকারের জনগণের প্রতি কোনো জবাবদিহিতা নেই। সুতরাং যেখানে জবাবদিহিতার প্রশ্ন থাকবে না, সেখানে অব্যাহতভাবে ধর্ষণ চলবে। ইভিএমের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে পূর্বনির্ধারিত স্বয়ংক্রিয়ভাবে নীরবে-নিঃশব্দে মানুষকে প্রতারিত করে তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আবারও ক্ষমতা দখলের নতুন রাস্তা তারা বের করেছে। সুতরাং তাদের জনগণের কাছে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই, জবাবদিহিতার কোনো প্রয়োজন নেই। যে দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হবে, সেখানে ধর্ষকরা তাদের স্বর্গরাজ্য তৈরি করবে। সরকার নির্বাচনে থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পুরোপুরিভাবে ব্যবহার করছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পুরোপুরিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য। এই লোকগুলো এখন মানুষের স্বার্থ কিভাবে রক্ষা করবে? আপনি যদি ক্ষমতায় থাকার জন্য তাদের ব্যবহার করেন, তাহলে তারা তাদের দায়িত্ব কিভাবে পালন করবে? এটা কখনো সম্ভব নয়। আগামীতে যে নির্বাচন হচ্ছে, ঢাকা মহানগরীতে সেখানে আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে অংশগ্রহণ করছি। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক-বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বনির্ভর-বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুলস্নাহ, নিপুন রায় চৌধুরী, তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় নেতা ড. মনিরুজ্জামান মনির, যুবদল নেতা গিয়াস উদ্দিন আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে