বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ

জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ: ক্যাব

গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। অন্যান্য মসলার মধ্যে এলাচের দাম বেড়েছে প্রকার ভেদে প্রতি কেজিতে ৩২ দশমিক ৪৭ থেকে ৪৪ দশমিক ৪১ শতাংশ
যাযাদি রিপোর্ট
  ০৮ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে কনজু্যমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) দ্রব্যমূল্য ও জীবনযাত্রার ব্যয়বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি গোলাম রহমান -যাযাদি

সদ্য বিদায়ী ২০১৯ সালে আগের বছরের তুলনায় দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে আরও বেশি, ৭১ দশমিক ১১ শতাংশ। সব মিলিয়ে ২০১৯ সালে ঢাকায় জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ এবং পণ্য ও সেবার দাম বেড়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। বৃদ্ধির এই হার আগের বছরের চেয়ে বেশি। মঙ্গলবার কনজু্যমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) দ্রব্যমূল্য ও জীবনযাত্রার ব্যয়বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। রাজধানীর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জীবনযাত্রার ব্যয়ের এই হিসাব প্রকাশ করা হয়। রাজধানীর ১৫টি খুচরা বাজার ও বিভিন্ন সেবার মধ্য থেকে ১১৪টি খাদ্যপণ্য, ২২টি নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী ও ১৪টি সেবার তথ্য পর্যালোচনা করে ক্যাব এই হিসাব করেছে। এই হিসাব শিক্ষা, চিকিৎসা ও প্রকৃত যাতায়াত ব্যয়বহির্ভূত। ২০১৮ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির হার ছিল ৬ শতাংশ এবং পণ্য ও সেবার মূল্য বৃদ্ধি পায় ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। অনুষ্ঠানে ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবীর ভূঁইয়াসহ আরো অনেকে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। অন্যান্য মসলার মধ্যে এলাচের দাম বেড়েছে প্রকার ভেদে প্রতি কেজিতে ৩২ দশমিক ৪৭ থেকে ৪৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। দেশি আদার দাম বেড়েছে ১২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ এবং আমদানি করা আদার দাম বেড়েছে কেজিতে ১৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। দেশে উৎপাদিত রসুনের দাম বেড়েছে ১২ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ১৬ শতাংশ। ২০১৯ সালে গড়ে শাকসবজির দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। তরল দুধে বেড়েছে ১০ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এ ছাড়া দেশি থান কাপড়, বিদেশি কাপড়, খেজুর গুড়, নারিকেল তেল, ঘরভাড়া প্রভৃতি জিনিসের দামও বেড়েছে। এছাড়া কমেছে ভোজ্যতেল, লবণ, চিনি, সাবান, পান সুপারি ইত্যাদি পণ্যের দাম কমেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশে স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণ ঘটেছে। তবে প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক মানুষ দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যান। সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরাও ঘটা করে চিকিৎসার জন্য প্রায়ই বিদেশ যান। এতে স্পষ্ট যে, দেশের চিকিৎসা সেবার মান কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। ওষুধ উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশ বিশ্বের ১৪২টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে। কিন্তু দেশে ব্যাপকভাবে নকল, ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। কিছু ওষুধের উচ্চমূল্য দরিদ্র রোগীদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। বেসরকারি খাতে ডাক্তারদের ফি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবার ফি বহুলাংশে অনিয়ন্ত্রিত, কোনো ক্ষেত্রে অসন্তোষজনক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে