ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে হাতে অঁাকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশাল প্রতিকৃতি।
জাতির জনকের ৪৩তম মৃত্যুবাষির্কীতে ৪৩ ফুট উচ্চতা ও ৩৫ ফুট প্রস্থের প্রতিকৃতিটি বসানো হয়েছে মিলন চত্বরসংলগ্ন রাস্তার পাশে।
৬৩টি স্বতন্ত্র ক্যানভাসের সমন্বয়ে তৈরি করা এই ছবিটি অঁাকতে টানা তিন দিন কাজ করেছেন বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদের প্রায় ১৫০ জন শিল্পী।
অনেকগুলো ছবি বাছাই করে এই প্রতিকৃতির নকশা তৈরি করেন ইউনিভাসিির্ট অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভের শিক্ষক শাহজাহান আহমেদ বিকাশ; মূল চিত্র অঙ্কনে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ টুটুল।
‘অ্যাক্রেলিক রঙে’ অঁাকা এই ছবিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে ৩১ আগস্ট পযর্ন্ত। এরপর ছবিটি বিভিন্ন জেলায় প্রদশের্নর পরিকল্পনা রয়েছে চারুশিল্পী সংসদের।
মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এই প্রতিকৃতির উদ্বোধন করেন।
পরে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা নিজের জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশ গড়ে গেছেন। চারুশিল্পীরা বঙ্গবন্ধুর যে প্রতিকৃতি এঁকেছেন তাতে আমি অভিভূত। আজ এখানে বসে ছবিটির দিকে তাকিয়ে মনে হয়েছে, আমি ৭১ সালে যেভাবে তার সঙ্গে বসতাম সেভাবেই বসে আছি।
‘ধন্যবাদ দেয়ার ভাষা জানা নেই। জাতির পিতা সপরিবারে রক্ত দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের রক্তের ঋণ শোধ করে গেছেন। তিনি শুধু বাংলাদেশের নন সারা বিশ্বের নেতা ছিলেন।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাযর্ অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘১৪ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে অনন্য একটি দিন। কারণ এই দিনটিতে জাতির পিতা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের দুভার্গ্য তিনি আসতে পারেননি। চারুশিল্পী সংসদের এই উদ্যাগে আমি অভিভূত। এইভাবেই আগামীতে বঙ্গবন্ধুর আদশর্ ছড়িয়ে পড়বে।’
জাতির পিতার সবচেয়ে বড় প্রতিকৃতি অঁাকার কাজটি কীভাবে এগিয়েছে সে বিষয়ে তুলে ধরেন বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অনেক ছবিইতো অঁাকা হয়। কিন্তু আমরা ভাবলাম ‘গণচরিত্রের’ কিছু একটা করার। এরপর আমরা শুরু করলাম পোট্রেট নিবার্চন। কয়েকদিন ধরে অনেকগুলো ছবি বাছাই করে একটি ছবি নিবার্চন করলাম।
‘শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, কিরীটি রায় ও হারুন-অর রশিদ টুটুলকে নিয়ে একটা কমিটি করা হয়েছিল। বিকাশ লে-আউট তৈরি করেছে আর টুটুল দেখেছে ছবি অঁাকার বিষয়টা। মূল কাজটা আমরা করেছি টিএসসির সুইমিংপুলে।’
মূল ছবির শিল্পী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইনের সহকারী অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরার আসলে কিছু নেই, কিন্তু তাকে ছড়িয়ে দেয়ার বিষয় আছে। সেই ছড়িয়ে দেয়ার জায়গা থেকেই আমরা এ কাজটি করেছি।’