শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দেশজুড়ে হাহাকার: রিজভী

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ১১:২৫
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয় -যাযাদি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, চারদিকে এখন দুর্ভিক্ষের প্রতিধ্বনি, দেশজুড়ে হাহাকার চলছে। চুয়াত্তরের চেয়েও খারাপ অবস্থা বিদ্যমান। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের একেক মন্ত্রী দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ে একেক কথা বললেও বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। মন্ত্রীদের কথা এখন চরম রসিকতায় পরিণত হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্যের দাম জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। সরকারের কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। নিজেদের এই সীমাহীন ব্যর্থতা ঢাকতেই বিরোধী দল ও মতকে দমন করা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষেভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মিছিলটি বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে পুরোদমে টালবাহানা চলছে বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ২৯ ডিসেম্বরের রাতের ভোটের সরকার সকল অবৈধ ক্ষমতার জোরে বেগম জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। গুরুতর অসুস্থ নেত্রীর জামিনে বাধা দেয়া হচ্ছে। দেশজুড়ে অরাজকতা, অনাচার, দুরাচার ঢাকতেই বেগম জিয়াকে এখনও মুক্তি দেয়া হচ্ছে না। বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা সাজানো মামলায় বন্দি করার মূল কারণই ছিল মধ্যরাতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করা। বেগম খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখে ভোট ডাকাতির কলঙ্কিত নির্বাচন কখনো সম্ভব ছিল না। কারণ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের জনগণের কাছে একজন জনপ্রিয় নেত্রীর নাম। তিনি জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির প্রতীক, সত্য ও ন্যায়ের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক। তিনি বলেন, কোনোভাবেই জড়িত না থাকলেও সাজানো অভিযোগ ও মামলায় সুপরিকল্পিতভাবে বেগম জিয়াকে সাজা দিয়ে বন্দি করে রেখেছে সরকার। এদেশে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর আমলে যারা সত্যবাদী ও প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর তাদের জায়গা হয় কারাগারে। আর গণতন্ত্র হত্যাকারীরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে রাখে। যারা এখন নিজেদের সরকার বলে দাবি করছে তারা অবৈধ ও ভোটসন্ত্রাসী। রিজভীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মিছিলে অংশগ্রহণ করেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদল ঢাকা পশ্চিমের সভাপতি জুয়েল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক কাউসার, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রনি, পল্টন থানা যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে