বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
সুজনের গোলটেবিলে হাফিজ উদ্দিন

এখন দাম বাড়লেও কেউ প্রতিবাদ করেন না

যাযাদি রিপোটর্
  ২৬ জুন ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ২৬ জুন ২০১৮, ১০:৪৯
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সোমবার সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তৃতা করেন সংগঠনের সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান Ñযাযাদি

বাজেটে এখন পণ্যের দাম বাড়লেও কেউ প্রতিবাদ করেন না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান। প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, এখন দাম বাড়লেও প্রতিবাদে কোথাও মিছিল হয় না।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন এম হাফিজ উদ্দিন খান। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ‘প্রস্তাবিত বাজেট ২০১৮-১৯ : নাগরিক ভাবনা’ শীষর্ক এই গোলটেবিলের আয়োজন করে।

সভাপতির বক্তব্যে এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা আফিম খেয়েছি। এটায় কোনো সন্দেহ নেই। কারণ, এই যে চালের দাম বাড়ল, একটা প্রতিবাদ বা মিছিল হলো না। আমরা বাঙালিরা খুব প্রতিবাদী জাতি ছিলাম। সেই প্রতিবাদী চরিত্র আমাদের আর নেই। এই যে বাজেট হলো, আগে দুই-চারটা মিছিল হতো। এখন কিছুই শুনি না।’

এম হাফিজ উদ্দিন খান আরও বলেন, চলতি বছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বহু আলোচনা-সমালোচনা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো একটি সুপারিশ গ্রহণ করা হয় না। বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমে যাচ্ছে দিন দিন। গত বাজেটে ভ্যাট আইন স্থগিত করা হলো বড়লোকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে। কেন স্থগিত করা হলো, সেই প্রশ্ন রাখেন তিনি।

গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভনর্র সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য এই বাজেট হয়নি। অল্প কিছু শ্রেণিকে তুষ্ট করার জন্য বাজেটটা হয়েছে। অথৈর্নতিক বৈষম্য ও অন্যান্য কমর্সংস্থানের জন্য বাজেটে বিশেষ বাতার্ থাকবে, ভাবা হয়েছিল। এ বিষয়ে বাজেটে প্রায় কিছুই নেই।

সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘সরকার একটা বিরাট বাজেট দিয়েছে। এতে কোনো আপত্তি নেই, বিরাট বাজেট হতেই পারে। গত কয়েক বছরের বাজেটের বাস্তবায়নের দিকে তাকাই, বাজেট কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে? সেই পরিপ্রেক্ষিতে এত বড় বাজেট এবারও যে বাস্তবায়িত হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।’

সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বাজেটে উন্নয়নের অগ্রাধিকার হিসেবে সম্ভাবনার খাতগুলোয় নজর দিতে হয়। দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনার খাত হলো তরুণ বয়সের জনগোষ্ঠী (ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড)। এটাকে কাজে লাগাতে হবে। এর জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দরকার ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। তিনি প্রশ্ন রাখেন, কমর্সংস্থান একটা বিরাট সমস্যা, সেটার জন্য কী করা হলো? অথৈর্নতিক যে বৈষম্য আছে, তার ব্যাপারে কী করা হলো?

বদিউল আলম মজুমদার আরও বলেন, এই বাজেট নিঃসন্দেহে বাতার্ দিচ্ছে, স্বাথাের্ন্বষী, সুযোগসন্ধানীদের সুযোগ দেওয়া, পৃষ্ঠপোষকতা করা ও তুষ্ট করা। কিন্তু সাধারণ ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য কোনো আকষর্ণীয় কিছু এতে নেই।

গোলটেবিল বৈঠকে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে