শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
সেমিনারে মন্ত্রী

থ্রিজি-ফোরজির মানের চেয়ে ফাইভজি গুরুত্বপূর্ণ

নতুনধারা
  ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০৬
বুধবার রাজধানীর আইইবি মিলনায়তনে ফাইভজি সেমিনারে বক্তৃতা করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার -যাযাদি

যাযাদি রিপোর্ট টুজি, থ্রিজি, ফোরজির মান কতটা উন্নত করতে পারব তার চেয়ে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি বা ফাইভজির মহাসড়ক যথাসময়ে নির্মাণ করতে পারা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীতে আইইবি মিলনায়তনে ফাইভজি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ২০১৮ সালের ফেব্রম্নয়ারিতে মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে ফাইভজির সঙ্গে পরিচয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ফাইভজির সঙ্গে চতুর্থ শিল্প বিপস্নবকে লিংক করা হয়েছে। এ দুটো বিষয় নিয়ে উন্নত দেশগুলো একটি বিশাল রকমের পরিবর্তন প্রত্যাশা করছে। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, 'আমি যখনই কোনো জায়গায় বিশেষ করে ফেসবুকে ইয়ং জেনারেশনের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করি তখনই বলে এখন পর্যন্ত থ্রিজিতে কথা বলতে পারি না, ফোরজির স্পিড পাই না, টুজি ঠিকমতো কাজ করে না, নেটওয়ার্ক কাজ করে না, অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।' 'নিঃসন্দেহে আমাদের মেবাইল ও ইন্টারনেট সেবাদাতাদের যে গুণগত মানের সেবা দেওয়া উচিত ছিল সেই গুণগত মানের সেবা আমরা দিতে সক্ষম হচ্ছি না। জনগণের প্রচন্ড অসন্তুষ্টি এরমধ্যে কাজ করেছে। একজন মন্ত্রী পর্যন্ত সংসদে দাঁড়িয়ে আমাদের অপারেটরদের সমালোচনার মধ্যে ফেলেছেন। আমার এমন কোনো দিন যায় না যেদিন দুইটা চারটা পাঁচটা কথা আসে না। বহু জায়গায় অভিযোগ- আমার নেটওয়ার্ক ঠিকমতো কাজ করে না।' এই সংকটটা রয়ে গেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যে কারণে আমাদের সাধারণ মানুষের ধারণা রয়েছে যে, টুজি, থ্রিজি, ফোরজির নেটওয়ার্ক এখন পর্যন্ত গড়ে তুলতে পারিনি; ফাইভজি নিয়ে কেন কথা বলছেন? আমি গালিটা একটু বেশি খাই, কারণ ফাইভজি নিয়ে বেশি কথা বলি। 'এটি খুব স্পষ্ট করা দরকার যে, ফাইভজি ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভুউলেশনের মহাসড়ক। সে কারণে আমি পছন্দ করি আর না করি আমার টুজি, থ্রিজি, ফোরজির কোয়ালিটি অব সার্ভিস কতটা উন্নত করতে করতে পারবো, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমি ফাইভজির মহাসড়ক যথাসময়ে নির্মাণ করতে পারব কিনা?' পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশ ফাইভ-জি নিয়ে তৎপর হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, খুব কম দেশের মধ্যে আমরা এরই মধ্যে ফাইভজির পরীক্ষা করে ফেলেছি, ৪ দশমিক ১৩ জিপিপিএস স্পিড পেয়েছিলাম। ফাইভজির চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জনগণ ছাড়াও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে আলোচনা করছি। গাইডলাইন তৈরি করতে হবে সবার মতামত নিয়ে। এটি এমনভাবে তৈরি করতে চাই যাতে প্রত্যেকের কাছে ব্যবহার করে দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়। সেমিনারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার মো. আমিনুল হাসান, গ্রামীণফোনের এন্টারপ্রাইজ বিজনেসের জেনারেল ম্যানেজার রেদওয়ান হাসান খান, এরিকসন বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার আবদুস সালাম, হুয়াওয়ে বাংলাদেশের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার জেরি ওয়াং সু বক্তব্য রাখেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে