বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

৪ কোটি টাকায় সংসদ এলাকায় বসছে আরও সিসি ক্যামেরা

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

জাতীয় সংসদ ভবনের সিসিটিভি সিস্টেমের সঙ্গে নতুন ৬০টি ক্যামেরা কেনা হচ্ছে। এসব ক্যামেরা স্থাপনের জন্য ক্যামেরা ও যন্ত্রপাতি কেনা এবং সংযোজনের প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয়েছে তিন কোটি ৯২ লাখ ৯৮ হাজার ১৬৩ টাকা।

এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটির সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। কমিটির সদস্য হিসেবে সংসদের কর্মকর্তা, গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্য ও আইটি বিশেষজ্ঞ, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্যরা রয়েছেন। এ বিষয়ে কমিটি ইতোমধ্যে একাধিক বৈঠকে করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, সংসদ ভবন ও পুরো সংসদ এলাকা কেপিআই (বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা) হওয়ায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে এসব ক্যামেরা কেনা হচ্ছে। তবে প্রাক্কলিক ব্যয় এখনও চূড়ান্ত হয়নি। প্রায় চার কোটি টাকা রাখার কথা বৈঠক থেকে বলা হয়েছে। এটি কমবেশি হতে পারে বলে তিনি জানান।

সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে কমিটি এ বিষয়ে একাধিক বৈঠক করেছে। বৈঠকে ব্যয় নিয়ে বাজারমূল্য পর্যালোচনা করা হয়। তবে এই বাজারমূল্য আরও যাচাই করা হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা বলেন, 'কয়েক বছর ধরে দেশের অভ্যন্তরে অত্যধিক বজ্রপাতসহ ঝোড়ো হাওয়ার কারণে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি বিশেষ করে সিসিটিভিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এজন্য নতুন করে কেনা প্রতিটি সিসিটিভি ক্যামেরায় আরথিং সিস্টেম সংযোজনের বিষয়ে সুপারিশ করেছে কমিটি।'

জানা যায়, কমিটি আরও কিছু সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সংসদের সর্বাত্মক ও সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্য সংসদ ভবনসহ পুরো সংসদ ভবন এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয়তা যাচাইপূর্বক সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।

বর্তমানে সংসদ ভবন এলাকায় ব্যবহৃত সব সিসিটিভি ক্যামেরা পিটিজেড সিস্টেম। এজন্য দূরত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিরূপণপূর্বক বুলেট সিস্টেমের সিসিটিভি ক্যামেরা সংযোজনের বিষয়ে সুপারিশ করে কমিটি। এ ক্ষেত্রে বেশি দূরত্বের জন্য পিটিজেড ক্যামেরা এবং কম দূরত্ব ও একপাশে ভিউ নেয়ার জন্য বুলেট ক্যামেরা ব্যবহারের সুপারিশ করে কমিটি।

সূত্র জানায়, ক্যামেরা ও এ সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি এবং লাগানোসহ মোট প্রাক্কলিক ব্যয় ধরা হয়েছে দুই কোটি ২৪ লাখ ৪৬ হাজার ৪০০ টাকা। তবে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী, এই পরিমাণ টাকার ওপর দরপত্র আহ্বানকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি ১০ শতাংশ লভ্যাংশ পাবেন। এজন্য কন্ট্রাক্টরকে দিতে হবে ২২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪০ টাকা। এ ছাড়া ওভারহেড চার্জ, ভ্যাট ইত্যাদিসহ মোট প্রাক্কলিক ব্যয় ধরা হয়েছে তিন কোটি ৯২ লাখ ৯৮ হাজার ১৬৩ টাকা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<71190 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1