যাযাদি রিপোর্ট বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ড ন্যক্কারজনক। এ ঘটনায় জড়িতরা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায় সে বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ ঘটনাকে পুঁজি করে যদি কেউ ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চায়, তবে তাদেরও সফল হতে দেওয়া যাবে না। মন্ত্রী বলেন, দেশে অবশ্যই ভিন্নমত থাকবে। ভিন্ন মত ছাড়া একটি গণতান্ত্রিক সমাজ হতে পারে না। ভিন্ন মত থাকবে, সমালোচনাও থাকবে। সমালোচনার জবাব সমালোচনার মাধ্যমে হয়। ভিন্ন মতের জবাব নিজের মত প্রকাশের মধ্য দিয়ে হয়। এর জবাব কোনোভাবেই আক্রমণ করে হয় না। এটা আমাদের সরকার সমর্থন করে না, আমাদের দলও সমর্থন করে না।' বুধবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে টিভি শিল্পী, নাট্যকার ও অনুষ্ঠান নির্মাতাদের সার্বজনীন সংগঠন এফটিপিওর (ফেডারেশন অব টিভি প্রফেশনালস অর্গানাইজেশনস) সঙ্গে মতবিনিময়ের পূর্বে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, 'প্রথমত এ হত্যাকান্ড অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। আমরা প্রথম থেকেই এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কেউ দাবি তোলার আগেই এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা এ ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হবে, তারা যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায় এ জন্য সরকার বদ্ধপরিকর।' তিনি বলেন, 'এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে, ইতিমধ্যে তাদের সবাইকে ছাত্রলীগ বহিষ্কার করেছে। একই সঙ্গে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উলেস্নখ্য, ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক কয়েকটি চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্যের সূত্র ধরে শিবির সন্দেহে আবরারকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রোববার রাতে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বলে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। ওই ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ গ্রেপ্তার ১০ জনকে মঙ্গলবার পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সাংগঠনিক তদন্তের ভিত্তিতে আগের রাতেই বুয়েট ছাত্রলীগের ১১ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার কথা জানিয়েছে।